পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বরবর্ণ ‘এ’ ミ> এবং ‘গেলা” ( গলাধঃকরণ ) ইহাদের প্রথমাক্ষরবত্তী একারের উচ্চারণভেদ দেখা যায়। প্রথমটি খ্যাল দ্বিতীয়টি গেলা । আমি স্থির করিলাম—সংস্কৃত মূল শব্দের ইকারের অপভ্রংশে বাংলার যেখানে ‘এ’ হয় সেখানে বিশুদ্ধ ‘এ’ উচ্চারণ থাকে । খেলন হইতে খেলা, কিন্তু গিলন হইতে গেলা—এই জন্য শেষোক্ত এ অবিকৃত আছে । ইহার পোষক আরে। অনেকগুলি প্রমাণ পাওয়া গেল। যেমন মিলন হইতে মেলা ( মিলিত হওয়া ), মিশ্রণ হইতে মেশা, চিহ্ন হইতে চেনা, ইত্যাদি । ইহার ব্যতিক্রম দেখিলাম, বিক্রয় হইতে বেচা ( ব্যাচ ) সিঞ্চন হইতে সেচ ( স্যাচ। ), চীৎকার হইতে চেচানো ( 5Js5sCF ( ) | তখন আমার পূর্বসন্দেহ দৃঢ় হইল যে, চ’ অক্ষরের পূৰ্ব্বে একার উচ্চারণের বিকার ঘটে । এই জন্তেই চয়ের পূৰ্ব্বে আমার এই শেষ নিয়মটি খাটিল না। যাহা হউক, যদি এই শ্রেণীর শব্দ সম্বন্ধে একটা সৰ্ব্বব্যাপী নিয়ম করিতে হয় তবে এরূপ বলা যাইতে পারে—যে সকল অসমাপিক। ক্রিয়ার আদ্যক্ষরে ই সংযুক্ত থাকে, বিশেষ রূপ ধারণকালে তাহাদের সেই ইকার একারে বিকৃত হইবে, এবং অসমাপিকারূপে যে সকল ক্রিয়ার আদ্যক্ষরে ‘এ’ সংযুক্ত থাকে, বিশেষ্যরূপে তাহাদের সেই একার অ্যাকাবে পরিণত হইবে । যথা— অসমাপিক ক্রিয়ারূপে । বিশেষ্যরূপে । কিনিয়া । কেনী ।