পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা কৃৎ ও তদ্ধিত 88) আমি কেবল বিষয়টার সূত্রপাত করিবার ভার লইলাম, তাহা সম্পূর্ণ করিবার ভার স্বধীসাধারণের উপর। আমার পক্ষে সঙ্কোচের আর একটি গুরুতর কারণ অাছে। আমি বৈয়াকরণ নহি । অনুরাগবশত বাংলা শব্দ লইয়া অনেক দিন ধরিয়া অনেক নাড়াচাড়া করিয়াছি ; কখনো কখনো বাংলার দুটা একটা ভাষাতত্ত্ব মাথায় আসিয়াছে ; কিন্তু ব্যাকরণ-ব্যবসায়ী নহি বলিয়া সেগুলিকে যথাযোগ্য পরিভাষার সাহায্যে সাজাইয়া লিপিবদ্ধ করিতে সাহসী হই নাই। এ প্রবন্ধে পাঠকের আনাড়ির পরিচয় পাঠবেন, কিন্তু চেষ্টা ও পরিশ্রমের ক্রটি দেখিতে পাইবেন না । অতএব শ্রমের দ্বারা যাহা সংগ্ৰহ করিয়াছি, পণ্ডিতগণের বিদ্যাবুদ্ধির দ্বারা তাহা সংশোধিত হইবে, আশা করিয়াই সাহিত্যপরিষদে এই বাংলা ভাষাতত্ত্বঘটিত প্রবন্ধের অবতারণা করিলাম । বাংলা কৃৎ ও তদ্ধিত বৰ্ত্তমান প্রবন্ধের বিষয় । তাহার মধ্যে কোনগুলি প্রাকৃত বাংলা ও কোনগুলি সংস্কৃত, তাহা লইয়া তর্ক উঠিতে পারে। সংস্কৃত হইতে উদ্ভূত হইলেই যে তাহাদের ংস্কৃত বলিতে হইবে, এ কথা মানি না । সংস্কৃত ইন প্রত্যয় বাংলায় ই প্রত্যয় হইয়াছে, সেই জন্য তাহা সংস্কৃত পূর্বপুরুষের প্রথা রক্ষা করে না। দাগি (দাগযুক্ত ) শব্দ কোনো অবস্থাতেই দাগিন হয় না। বাংলা অস্ত প্রত্যয় সংস্কৃত শতৃ প্রত্যয় হইতে উৎপন্ন, কিন্তু তাহা শতৃ-প্রত্যয়ের অনুশাসন লঙ্ঘন করিয়া একবচনে জিয়ন্ত ফুটন্ত ইত্যাদিরূপ ধারণ করিতে লেশমাত্র লজ্জিত श्च न !