পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা কৃৎ ও তদ্ধিত 8ማት গ্রহণ করিয়াছে, কখনো করে নাই । যেমন তক্ত, তক্তা ; বাঘ, বাঘা ; পাট, পাট ; ল্যাজ, ল্যাজা ; চোঙ, চোঙা ; চাদ, চাদা ; পাত, পাতা ; ভাই, ভাইয়া (ভায়া ) ; বাপ, বাপা ; থাল, থালা ; কালো, কালা ; তল, তলা ; ছাগল, ছাগল ; বাদল, বাদলা ; পাগল, পাগলা ; বামন, বামনা ; বেল, ( ফুল ) বেলা ; ইলিষ, ইলষা (ইলষে )। এই আ প্রত্যয়যোগে অনেকস্থলে অবজ্ঞা বা অতিপরিচয় জ্ঞাপন করে । বিশেষতঃ মানুষের নাম সম্বন্ধে। যথা, রাম, রাম ; শাম, শামা ; হরি, হরে (হরিয়া) ; মধু, মোধো (মধুয়া ) ; ফটিক, ফটুকে ( ফট্‌কিয় )। দ্রষ্টব্য এই যে, সকল নামে আ প্রত্যয় হয় না ; যাদবকে যাদবা, মাধবকে মাধ বা বলে না। শ্ৰীশ, প্রিয়, পরাণ প্রভৃতিও এইরূপ। বাংলা নামের বিকার সম্বন্ধে কোনো পাঠক আলোচনা সম্পূর্ণ করিয়া দিলে আনন্দিত হইব । স্বার্থে আ প্রত্যয়ের উদাহরণ দেওয়া গেছে, তাহাতে অর্থের পরিবর্তন হয় না। আবার আ প্রত্যয়ে অর্থের কিছু পরিবর্তন ঘটে, এমন উদাহরণও আছে। যেমন হাত হইতে হাত ( রন্ধনের হাতা, জামার হাতা, অর্থাৎ হাতের মতো পদার্থ ) ; ঠ্যাঙ হইতে ঠ্যাঙ ( ঠ্যাঙের ন্যায় পদার্থ) ; ভাত হইতে ভাতা ( খোরাকী ) বাস হইতে বাসা ; ধোব হইতে ধোবা । ধাতুর উত্তর আ প্রত্যয়যোগে ক্রিয়াবাচক বিশেষ বিশেষণের স্বষ্টি হয়। বাধ ধাতুর উত্তর আ প্রত্যয় করিয়া বাধা ; ঝর ধাতুর