পাতা:বাংলা সাময়িক-পত্র (১৮১৮-১৮৬৮).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थथंभ °ब्रेिक्ष, s४’s४-S४२२ SS দর্পণের দ্বিভাষিতা গুণের বিষয়ে এই বক্তব্য। দুই ভাষায় বিশেষ বিব্যানুসারে আমারদের মত প্ৰকাশ করিতে মনস্থ করিতেছি। এই হেতুক কখনই পদের অবিকল অনুবাদ করা হইবেক না। সামান্ততঃ উভয় ভাষার রস যথাসাধ্য রক্ষা করিয়া ভাষান্তরীকৃত হুইবেক । অনেকে কহিয়া থাকেন। বঙ্গভাষা অতি নীরসপ্রযুক্ত ইংলণ্ডীয় কথার সম্পূর্ণ রস তাহাতে প্ৰকাশ হয় না। পরন্তু এই কথার অনর্থকতার প্রমাণ এই পত্র হয়। এতদ্রুপ আমারদের সম্পূর্ণ। আশা। নব-পৰ্য্যায়ের ‘সমাচার দর্পণ’ দেড় বৎসর চলিয়া চিরতরে লুপ্ত হয়। ১ বৈশাখ ১২৬০ ( ১২ এপ্রিল ১৮৫৩ ) তারিখের ‘সংবাদ প্ৰভাকরে” প্ৰকাশ :- অগ্রহায়ণ ( ১২৫৯ ) • • “সমাচার দর্পণ পত্র শ্ৰীীরামপুরে গঙ্গার জলে প্ৰাণ ত্যাগ করে । বাঙ্গাল গেজেট (সাপ্তাহিক)। জুন (?) ১৮১৮ । শ্ৰীরামপুর হইতে যখন ‘সমাচার দৰ্পণ” প্রকাশিত হয়, প্ৰায় সেই সময়ে কলিকাতাতেও ‘বাঙ্গাল গেজেট’ নামে একখানি বাংলা সাপ্তাহিক পত্রের স্মৃষ্টি হইছিল। ইহাই বাঙালীপরিচালিত প্ৰথম বাংলা সংবাদপত্র । এই পত্ৰিকাখানির প্রকাশক-গঙ্গাকিশোর ভট্টাচাৰ্য্য । গঙ্গাকিশোরের নিবাস শ্ৰীরামপুরের নিকটবৰ্ত্তী বহরা গ্রামে। ব্যাপটিস্ট মিশনারীরা প্রচার কাৰ্য্যের সুবিধার জন্য শ্ৰীরামপুরে বাংলা মুদ্রাযন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করিলে তিনি কম্পোজিটরী-রূপে মিশনের ছাপাখানায় প্রবেশ করেন । তথায় কিছু দিন চাকরি করিবার পর, স্বাধীনভাবে জীবিকা অর্জন করিবার মানসে উদ্যোগী পুরুষ গঙ্গাকিশোর কলিকাতায় আসিয়া পুস্তক প্ৰকাশ ও বিক্রয়ের ব্যবসায়ে হস্তক্ষেপ করেন । এদিকে তখনও কোন বাঙালীর নজর পড়ে নাই । ‘সমাচার দর্পণ” গঙ্গাকিশোর সম্বন্ধে লিখিয়াছিলেন :- এতদ্দেশীয় লোকের মধ্যে বিক্রয়ার্থে বাঙ্গালা পুস্তক মুদ্রিতকরণের প্রথমোদ্যোগ কেবল ১৬ বৎসরাবধি হইতেছে ইহা দেখিয়া আমারদের আশ্চৰ্য্য বোধ হয় যে এত অল্প কালের মধ্যে এতদ্দেশীয় লোকেরদের ছাপার কৰ্ম্মের। এমত উন্নতি হইয়াছে। প্রথম যে পুস্তক মুদ্রিত হয় তাহার নাম অন্নদামঙ্গল শ্ৰীরামপুরের ছাপাখানার এক জন কৰ্ম্মকারক শ্ৰীযুত গঙ্গাকিশোর ভট্টাচাৰ্য্য তাহা বিক্রয়ার্থে প্ৰকাশ করেন। (৩০ জানুয়ারি ১৮৩০ ) গঙ্গাকিশোর প্রথমে (ইং ১৮১৬) ফেরিস এণ্ড কোম্পানীর ছাপাখানায় বাংলা বই ছাপিতে সুরু করেন; তন্মধ্যে ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল” উল্লেখযোগ্য ; ইহাই বোধ হয় ছাপার হরফে প্ৰথম সচিত্র বাংলা পুস্তক । স্বরচিত দুই-তিনখানি পুস্তক ছাড়া তিনি ‘গঙ্গাভক্তিতরঙ্গিশী’, ‘লক্ষ্মীচরিত্র”, “বেতাল পঞ্চবিংশতি’, ‘চাণক্যশ্লোক” এবং লিলুলুলালের সহযোগে রামমোহন রায়ের কোন কোন পুস্তক প্ৰকাশ করিয়াছিলেন । পুস্তকগুলির কাটতি ক্রমশঃ বাড়িতে থাকায় গঙ্গাকিশোর কলিকাতায় একটি আপিস ও বইয়ের