পাতা:বাংলা সাময়িক-পত্র (১৮১৮-১৮৬৮).pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&s বাংলা সাময়িক-পত্ৰ ধৰ্ম্মসভার প্রতিষ্ঠা করেন। ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভার সম্পাদক হন। ১৮৩০ সনের ১৩ই ফেব্রুয়ারি ‘সমাচার দর্পণ” মন্তব্য করেন, “চিন্ত্রিকাকার ধৰ্ম্মসভার কৌমুদীকার । ব্ৰহ্মসভার সাহায্যকারক।• • “সতী বিষয়ক ব্যাপার সংপ্ৰতি ঐ উভয় সমাচারপত্রে লিখিত বাদানুবাদমাত্রের আশ্রয় হইয়াছে।"” ১৮৪৮ সনের ২০ এ ফেব্রুয়ারি (৯ ফান্ধন ১২৫৪ ) ভবানীচরণের মৃত্যু হইলে তৎপুত্র রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু দিন “সমাচার চন্ত্রিকা’ পরিচালনা করিয়াছিলেন।* কিন্তু তখন 'সংবাদ প্রভাকর’, ‘সংবাদ পূর্ণচন্দ্ৰোদয়’ প্ৰভৃতি পত্রিকার আবির্ভাবে ‘সমাচার চন্ত্রিকা’র প্রসার-প্রতিপত্তি কমিয়া আসিয়াছিল। সুতরাং রাজকৃষ্ণ শীঘ্রই ঋণজালে জড়িত হইয়া দেউলিয়া হন । আড়াই শত টাকায় ‘সমাচার চন্দ্ৰিকা’র স্বত্ব বা “হেড” ক্ৰয় করেন-ভগবতীচরণ চট্টোপাধ্যায়। নূতন ‘সমাচার চন্দ্ৰিকা’ প্ৰকাশিত হইলে ৭ মে ১৮৫২ তারিখে ‘সংবাদ প্রভাকরা” লেখেন :- শ্ৰীযুত বাবু ভগবতীচরণ চট্টোপাধ্যায়ের নূতন চন্দ্ৰিকা আমারদিগের দৃষ্টিপথে বিহার করিয়াছেন, ইহার আকার প্রকার অবিকল পুরাতন চন্ত্রিকার ন্যায়। এবং পূর্বকার সেন্ট VRR&G FRST e Catsfie HfS FCE. এই বিষয় যন্ত্রারূঢ় হওন কালে শ্রবণ করিলাম পুরাতন চন্দ্ৰিকার নুতন সম্পাদক নুতন চন্দ্ৰিকার নূতন এডিটর ও নূতন প্রোপ্ৰাইটরের নামে উকিলের চিঠি দিয়াছেন, ফলে তিনি দিতে পারেন, কারণ রাজকৃষ্ণ বাৰু ইন্সলিবেণ্ট গ্রহণের অনেক পূর্বেই চন্দ্ৰিক বিক্রয় করিয়াছেন । নূতন “চন্ত্রিকা’র সঙ্গে পুরাতন, ‘সমাচার চন্ত্রিকা’ও মাঝে মাঝে বাহির হইয়াছিল :- বাৰু ভগবতীচরণ চট্টোপাধ্যায়। যেমন এসাইনির নিকট হইতে হেড ক্রয় করত নুতন চঞ্জিকা প্ৰকাশ করিলেন তেমনি আবার এ পক্ষের পুরাতন চন্ত্ৰিকাখানি একবার জন্ম, একবার মৃত্যু, একবার মৃত্যু, একবার জন্ম, এইরূপ পাঁচ ছয় আছাড় খাইয়াই প্রাণত্যাগ করিলেন -"সংবাদ প্রভাকর’, ৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৩। রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ( ১৪ আগষ্ট ১৮৫২ ) পর সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক প্ৰাণকৃষ্ণ বিদ্যাসাগর পুরাতন ‘সমাচার চন্দ্ৰিকা’ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয় ; ‘বিবিধার্থ-সন্ধাহের (চৈত্র ১৭৮০ শক) একটি সমালোচনায় প্রকাশ :-“এই সময়ে সংস্কৃত

  • ১৬ মে ১৮৪৮ তারিখের ‘সংবাদ প্রভাকুরে’ প্ৰকাশ :-“ধৰ্ম্মসভা তথা চন্দ্ৰিকা সম্পাদক । অবগতি হইল, গত রবিবার বৈকালে কলুটোলার ধৰ্ম্মসভার গৃহে ধৰ্ম্মসভার এক অতিরেক সভা হইয়াছিল, ঐ সভাতে আমারদিগের প্রধান সহযোগি চত্রিকার অভিনব সম্পাদক বাবু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় সম্পাদকের পদে অভিষিক্ত হইয়াছেন, উক্ত বাৰু পিতৃপদ প্ৰাপ্ত হইয়া পিতার স্থায় সৰ্ব্বতোভাবে যশস্বী হয়েন • • • ।”