পাতা:বাংলা সাময়িক-পত্র (১৮১৮-১৮৬৮).pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ, ১৮২৬-১৮৩৫ e সাপ্তাহিক পত্ৰ প্ৰকাশ করিবার জন্য পাথুরিয়াঘাটা হইতে ঈশ্বরচন্দ্ৰ গুপ্ত সরকারের নিকট আবেদন করেন। আবেদনপত্ৰখানি ইংরেজীতে লেপা, গুপ্ত কবি ইহাতে বাংলায় স্বাক্ষর করিয়াছিলেন । ১১ জানুয়ারি ১৮৩১ তারিখে লাইসেন্স মঞ্জুর হইলে পরবত্তী ২৮এ। জানুয়ারি ( ১৬ মাঘ ১২:৩৭, শুক্রবার ) সাপ্তাষ্টিক সমাচারপত্ররূপে ‘সংবাদ প্রভাকরে’র প্রথম উদয় ছয় । ‘সমাচার চন্দ্ৰিকা” (৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৩১ ) লেখেন :- পাঠকবর্গের স্মরণে থাকিবেক সম্বাদ প্রভাকর নামক সমাচারপাঞ্জ এতন্নগরে প্রকাশ পাইবার কল্পনা জল্পনা হইয়াছিল সংপ্ৰতি গত ১৬ মাঘ শুক্রবায় তাহার প্রথম সংখ্যা প্রচার হইয়াছে তদািবলোকনে বোধ হইতেছে যে তৎপ্রকাশক হিন্দু ধৰ্ম্মনাশোচুকদিগের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্ৰবৃগু হইতে পারেন যেহেতুক প্রভাকর প্রকাশকের যুক্তি উক্তি দ্বারা শক্তি ভক্তি ব্যক্ত হইয়াছে সাধু মহাশয়ের এ সম্বাদপত্রের সম্বাদ শুনিলে ঔদাস্কি না কবিয়া অবশ্য সন্তুষ্ট হুইবেন । ቇ: ‘সংবাদ প্ৰভা করে’র কণ্ঠদেশে প্ৰেমচন্দ্র তর্কবাগীশের বাচিত দুইটি শ্লোক মুদিত হই’ ; শ্লোক দুষ্টটি এই :- ! সীতাং মনস্তামরাসপ্রভাকরঃ সদৈব সৰ্ব্বেষু সমপ্রভাকারঃ ॥ V উদ্দেতি ভাস্বৎ সকলাপ্ৰভাকারঃ সদর্থসম্বাদনবপ্রভাকারঃ ॥ t০০০। নাক্তং চন্দ্র করেণ ভিন্নমুকুলেম্বিন্দী বরেষু কচিক্ষুদ্রািমং ভ্ৰামমতভ্ৰমীষদম্বতং পীত্ব ক্ষুধাকান্তব্বা: ॥০০০। ॥০০০ অস্তোন্তদ্বিমলপ্ৰভাকর করপ্রোদ্ভিন্নপদ্মোদরে স্বচ্ছন্দং দিবসে পিবস্তু চতুব্বা: স্বাস্তদ্বিবেক্ষা বসং৷১০০৷৷ ‘সংবাদ প্রভাকর’-প্রকাশে ঈশ্বরচন্দ্রের সাহায্যকারী ছিলেন পাথুরিয়াঘাটা-নিবাসী গোপীমোঙ্গন ঠাকুরের পৌত্র-নন্দকুমার ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র যোগেন্দ্রমোহন ঠাকুল । যোগেন্দ্রমোহন ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্রের সমবয়স্ক এবং তঁহার কবিতার গুণগ্ৰাহী । তঁহারই ব্যাষে ‘সংবাদ প্ৰভাকবা’ প্ৰথমে চোরবাগানের একটি মুদ্রাব্যন্ত্রে মুদ্রিত হইত। কয়েক মাস পরে১২৩৮ সালের শ্রাবণ মাসে ঠাকুরবাড়ীতে ‘সংবাদ প্রভাকর" মুদ্রণের জন্য একটি মুদ্রাযন্ত্র স্থাপিত হয়। গুপ্ত-কবি ১২ এপ্রিল ১৮৪৬ ( ১ বৈশাখ ১২৫৩) তারিখের ‘সংবাদ প্ৰভাকবে।’ লিপিমা ছিলেন :- শ্ৰীযুক্ত প্ৰেমচান্দ তর্কবাগীশ যিনি এক্ষণে সংস্কৃত কলেজের অলঙ্কার শাস্ত্রের অধ্যাপক, তিনি লিপি বিষয়ে বিস্তুর সাহায্য করিতেন । তঁহার রচিত সংস্কৃত শ্লোকদ্বয়, অদ্যাবধি প্রভাকরের শিরোভূষণ রহিয়াছে। জয়গোপাল তর্কালঙ্কার মহাশয় অনেক উত্তম উত্তম গদ্য পন্থ লিখিয়া প্ৰভাকরের শোভা ও প্ৰশংসা বৃদ্ধি করিয়াছিলেন । vবাৰু যোগেন্দ্রমোহন ঠাকুরের সম্পূৰ্ণ সাহায্যক্রমে প্ৰথমে এই প্রভাকর পত্র প্রকটত DDYSS S Bzz BDDBB DDBB D BBDS tS GDtDBLDB BEB DDE CLt DB KS হইত। [১২]৩৮ সালের শ্রাবণ মাসে পূৰ্ব্বোক্ত ঠাকুর বাবুদিগের বাটীতে স্বাধীন রূপে যন্ত্ৰালয় স্থাপিত করা যায় । তাহাতে [১২৩৯ সাল পৰ্যন্ত সেই স্বাধীন যন্ত্রে অতি সম্রামের সহিত মুদ্রিত হইয়াছিল।