পাতা:বাংলা সাময়িক-পত্র (১৮১৮-১৮৬৮).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8心 বাংলা সাময়িক-পত্ৰ জ্ঞানান্বেষণ। শনিবার ইং ১৮ জুন -সংপ্ৰতি এতন্মহানগরে নানাবিধ সমাচাবপত্রদ্বারা নানা দেশীয় সমাচার প্রচার হইতেছে তা হাতে এই পত্ৰ প্ৰস্তুতকরা কেবল নানা দেশীষ গুহাগুহ্য রক্তান্ত প্ৰকাশ করিবার নিমিত্তে এমত নহে পরস্তু অন্য২ প্রয়োজন অনেক আছে। এক প্রয়োজন এই যে এতদ্দেশীয় বিশিষ্ট বংশোদ্ভব অনেক মহাশষের লোকের প্রপঞ্চ বাক্যেতে প্ৰতারিত হইতেছেন তা হাতে তাহারদিগের কোনরূপেই ভাল হইবার সম্ভাবনা না দেখিয়া খেদিত হইয়া বিবেচনা করিলাম যে নানা দেশ প্রচলিত বেদবেদান্ত মসুমিতাক্ষ ব|- প্রভৃতি গ্রন্থেব, আলোচনা দ্বারা তঁহাবদিগের ভ্রাপ্তি দুব করিতে চেষ্টা করিব। দ্বিতীষতঃ এই যে এতদ্ধেশনিবাসি অনেকেই আপন২ জাতিবিহিত ধর্শের প্রতি জিঞ্জাসা করিলে যথাশাস্ত্রাণুসাবে কহিয়া থাকেন। কিন্তু সেই মহাশয়ের। এমত কৰ্ম্ম কবেন। DD S SKSBYD BtLtYBDBBD BBBB BDBD BDBD DDD SD S SDDDDDS BDBJ DDD হুইবেক । তৃতীয়তঃ এই যে ভুগোল প্রভৃতি গ্ৰন্থ যদ্যপি এতদ্দেশে দেশান্তরীয় ও বঙ্গদেশীয় ভাষায় নানাপ্ৰকাবে প্ৰকাশ হইয়াছে তথাপি সে অতিবিস্তাবিতরূপে প্ৰচাব হয় নাই। অতএব সকলের আশু বোধের নিমিত্তে সেই সকল গ্ৰন্থ আমরা বঙ্গদেশীয় ভাষায্য ক্রমে২। প্ৰকাশ করিব । এবং অন্য ২ বিষয় যাহা প্ৰকাশ করা আবশ্যক তাকাও উপস্থিতানুসারে প্রকাশ করিতে ত্রুটি কবিব না। ইতি -( ২ জুলাই ১৮৩১ তারিখের “সমাচার দর্পণে’ উদ্ধত ) দক্ষিণানন্দন নামে সম্পাদক হইলেও “জ্ঞানান্বেষণে’ব প্রফ সংশোধনাদি যাবতীয় সম্পাদকীয় কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতেন-গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ । তঁহাদের উভয়কে কটাক্ষ করিয়া সমসাময়িক “সম্বাদ তিমিরনাশক’ লেখেন :- সন। ১২৩৮ সালের ৫ আষাঢ়ে জ্ঞানান্বেষণ কাগজ প্ৰকাশ হয় তাহাব প্ৰকাশক শ্ৰীযুত দক্ষিণানন্দন ঠাকুর ইনি বাবু সুৰ্য্যকুমার ঠাকুরেব দৌহিত্র বাঙ্গালা লেখা পড়া কিছুই জানেন না এবং বাঙ্গাল কথা কহিতে ভাল পারেন না। তাহাতে রুচিও নাই। তথাচ বাঙ্গল সমাচাব কাগজের এডিটর না হইলেই নয় মাতামহদত্ত কিঞ্চিৎ সঞ্চিত আছে তাহা তাবৎকে বঞ্চিত করিয়া ঐ কাগজের জন্য কথঞ্চিৎ কিছু ব্যয় করেন এক জন নাটুরে ভাট মদ্যপায়িকে পণ্ডিত জানিয়া চাকর রাখিয়াছেন সে নাস্তিক হিন্দুদ্বেষী কাগজ আরম্ভাবধি কেবল ধাৰ্ম্মিকবর শ্ৰীযুত চন্দ্ৰিকােকর মহাশয়কে কটু কহে আর হিন্দুশাস্ত্র ভাল নহে তাহারি দোষ আপন বুদ্ধিতে যাহা আইসে তাহাই লেখে এজন্য ভদ্রলোকুমাত্র কেহ ঐ কাগজ পাঠ করেন না ৩থাচ কাগজ ছাপা করিয়া জন কািঞক লোকের বাটীতে পাঠাইয়া দেণ -( ২১ জানুয়ারি ১৮৩২ তারিখের ‘সমাচার দর্পণে’ উদ্ধত) • গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশই যে প্রকৃতপক্ষে “জ্ঞানান্বেষণের সম্পাদক ছিলেন, তাহার দুইটি প্রমাণ উদ্ধৃত করিতেছি :- পূৰ্বে আমারদিগের যে পণ্ডিত ছিলেন তিনি ভাস্কর নামক সংবাদ কাগজ বাহির করিয়াছেন- -“জ্ঞানান্বেষণ’, ( ২৩ মার্চ ১৮৩৯ তারিখের ‘সমাচার দর্পণে” উদ্ধত)