পাতা:বাংলা সাময়িক-পত্র (১৮১৮-১৮৬৮).pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা সাময়িক-পত্ৰ গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মতে “সিমূলের রাধাকৃষ্ণ মিত্রের [সাতুবাবুল ভগিনীপতির 1 চতুর্থ পুত্র জীবনকৃষ্ণের আনুকূল্যে শ্ৰীনাথ রায় ‘সম্বাদ ভাস্কর” প্ৰকাশ করেন।” (“নবজীবন, আষাঢ় ১২৯৩) । ইহা অমূলক নাও হইতে পারে; পত্রিকার শেষে এই অংশটি মুদ্রিত হইত :- সম্বাদ ভাস্কর পত্র সহর কলিকাতা শিমুলিয়ার হেদুয়ার উত্তর বড় রাস্তার ধারে রায়ের পুষ্করিণীর পশ্চিমাংশে শ্ৰীযুত বাবু আশুতোষ দেব মহাশয়ের বাটীতে প্ৰতি মঙ্গলবারে ভাস্কর श्वं &थं क्षु । তবে এ কথা সত্য যে, গোড়া হইতেই আঁদুল-নিবাসী মথুরানাথ মল্লিকেব। কনিষ্ঠ ভ্ৰাতা শ্ৰীনাথ মল্লিক 'সম্বাদ ভাস্কর” পত্রের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৮৪৪ সনের সেপ্টেম্বর মাসে তাহার মৃত্যু তইলে গৌরীশঙ্কর লিখিয়াছিলেন, “...শ্ৰীনাথ বাবু। [ বহু ] কাল আমারদিগকে টাকা দিয়া প্ৰতিপালন করিষাছেন, আমাধ্যদিগের সেই প্ৰতিপালক মিত্ৰ গেলেন।” “সম্বাদ ভাস্করে’র শিরোভাগে এই শ্লোকটি মুদ্রিত হইত :- গৌরীশঙ্করবক্তপদ্মহৃদয়ে শ্ৰীনাথপদ্মাতুরো মগ্নোহয়ং সমুদ্দেতি ভাস্করবরঃ সম্বাদপদ্মোদয়ৈঃ। হৃৎপদ্মপ্রকটায় সন্ততমহো সম্বাদপদ্মার্থিনাং লোকানাং খলু বেদপদ্মপ্ৰকটৈঃ শ্ৰীপদ্মযোনিৰ্যথা ॥ এই শ্লোকটির পরিবৰ্ত্তে ১৮৪৫ সনের ১৮ই মার্চ হইতে প্ৰেমচন্দ্র তর্কবাগীশ-রচিত একটি নূতন শ্লোক ‘সম্বাদ ভাস্করে’র কণ্ঠে শোভা পাইতে থাকে। শ্লোকটি এই :- ভ্ৰান্তৰ্বোধিসরোজ কিং চিরায়সে মৌনম্ভ নায়ং ক্ষণো দোষধবাস্ত দিগন্তুরং ব্ৰজ না তেহবস্থানমত্ৰোচিতম। ভো ভোঃ সৎপুরুষঃ কুরুন্ধৰ্ব্বমধুনা সংকৃত্যমত্যাদরান্ধেগৗরীশঙ্করপূৰ্ব্বপৰ্ব্বতমুখাম্বুজগুতে ভাস্কৰবঃ { কিছু দিন পরে ” এই দ্বিতীয় শ্লোকটির সহিত আর একটি শ্লোক সংযুক্ত হয়। ১৮৪৯ সনের জানুয়ারি মাসের ‘সম্বাদ ভাস্করেও এই অতিরিক্ত শ্লোকটি দেখিতেছি :- নানালোকক রক্রিয়ঃ সমুদিতে নব্যায়তে শাশ্বতঃ শাশ্বাৎস্বাত্মগুণাঙ্গুজোজ্জ্বলকারো দোষান্ধকারোজঝিতঃ । নানা দেশবিলাস এষ বিলসন্মাণ্ডুরুবৰ্ণে পরে গৌরীশঙ্করপুর্বপর্বতমুখাদ্বোজগুতে ভাস্কারঃ ॥ ‘সম্বাদ ভাস্কর” প্ৰকাশের অল্প দিন পরে সম্পাদক শ্ৰীনাথ রায়কে লইয়া কলিকাতায় একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। ১৮৪০ সনের ৯ই জানুয়ারি প্রাতঃকালে শ্ৰীনাথ রায় যখন পটলডাঙ্গার চৌমাথার কাছে গাড়ীতে উঠিতে যাইতেছেন, সেই সময় আঁদুলের রাজার কুড়ি-পাঁচিশ জন সশস্ত্র প্রহরী হঠাৎ তঁহাকে আক্রমণ করিয়া মারপিট করিতে করিতে আঁদুলে ধরিয়া লইয়া যায়। সেখানে তঁাহাকে অনেক অত্যাচার সহ্য করিতে হইয়াছিল। পরবত্তী ১৮ জানুয়ারি ‘সমাচার দর্পণ” এই প্রসঙ্গে লেখেন :- রাজা রাজনারায়ণের অত্যাশ্চৰ্য্য কীৰ্ত্তি --ভাস্কর সম্পাদকের প্রতি রাজা রাজনারায়ণ রায় যে আইনবিরুদ্ধ ও আশ্চৰ্য ব্যাপার করিয়াছেন তাহাতে সৰ্ব্বসাধারণ লোকেরই দৃকপাত হইয়াছে এবং বোধ হয় যে ঐ মোকদ্দমা আতি শীঘ্ৰ আদালভে আনীত হইবেক । দৃষ্ট হইতেছে যে ভাস্কর সম্পাদকের নিকটে এক পত্র প্রেরিত হইয়াছিল তাহাতে এই লেখে ষে উক্ত রাজা দুই জন ব্ৰাহ্মণকে ধৰ্ম্মসভা হইতে বহিস্কৃত করিয়াছেন এবং আব্দুল