পাতা:বাংলা সাময়িক-পত্র (১৮১৮-১৮৬৮).pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা সাময়িক-পত্রে (دسالا-راد سواد ) آed۹۹|| if{(5s আজকাল সভ্য-সমাজে সংবাদপত্র নিত্যব্যবহাৰ্য্য বস্তু হইয়া দাড়াইয়াছে, সংবাদপত্র মুদ্রণ ও বিতরণের বিধিব্যবস্থাও একটা বিরাটু ব্যবসায়ে পরিণত হইয়াছে। অথচ সংবাদপত্রের ইতিহাস খুব প্রাচীন নয়। ইউরোপীয় জাতিদের মধ্যেও মাত্র গত দুই শত বৎসরের মধ্যে সংবাদপত্রের সম্যক্ বিকাশ হইয়াছে। তাহার পূর্বে ইউরোপের মফস্বলবাসী বড়লোক ও ব্যবসায়ীরা হাতে-লেখা সংবাদের চিঠি হইতে সংবাদ সংগ্ৰহ করিতেন। আমাদের দেশেও মোগল আমলে বাদশাহরা প্ৰতি প্রদেশে এবং বড় বড় শহরে চব রাখিতেন ; এই চরেরা স্থানীয় সংবাদ সংগ্ৰহ করিয়া কখনও মাসে একবার কখনও বা সপ্তাহে সপ্তাহে লিখিয়া পাঠাইত। গোপনীয় রাজকীয় কথা না থাকিলে এই সকল সংবাদের চিঠি রাজদরবারে প্রকাশ্যে পড়া হইত, এবং সভায় উপস্থিত সকল লোক নানা স্থানের সংবাদ পাইত। এই প্রথার অনুকরণে সেনাপতি, শাসনকৰ্ত্তা এবং করন্দ-রাজারাও রাজদরবারের ঘটনা, রাজধানীর ও অন্যান্য প্রদেশের সংবাদ জানিবার জন্য সম্রাটের সভায় নিজ নিজ সংবাদ-লেখক-ওয়াকেয়া-নবিসি’ রাখিতেন। ফৌজদার, থানাদারের মত ছোটখাট রাজকৰ্ম্মচারীরাও উপরিতন কৰ্ম্মচারী অর্থাৎ সুবাদার বা প্ৰাদেশিক শাসনকৰ্ত্তার সভায় নিজস্ব পত্র-লেখক নিযুক্ত করিতেন। এই সকল লেখক নিজ নিজ প্রভুর নিকট নিয়মিতরূপে যে সংবাদ লিখিয়া পাঠাইত, তাহাই সাধারণতঃ মুখে মুখে সমাজে প্রচারিত হইত। বড় বড় মহাজন এবং ধনী বণিকেরাও নিজ নিজ কারবারের দূরবর্তী শাখাগুলিতে অথবা বড় বড় শহরে অবস্থিত স্বকীয় প্ৰতিনিধিগণের নিকট হইতে নিয়মিতরূপে স্থানীয় সংবাদ পাইবার ব্যবস্থা করিয়া রাখিতেন। সংবাদ জানিবার জন্য মানুষের যে একটা স্বাভাবিক কৌতুহল আছে, এইরূপে মোগল-যুগে সমাজের প্রায় সকল স্তরের লোকের মধ্যেই তাহা চরিতার্থ করিবার উপায় ছিল। এই সকল সংবাদ-লিপির নাম ছিল ‘আখবার’ বা ডবল বহুবচনে “আখবারাৎ'। এগুলি ফার্সীতে লিখিত হইত ; মারোয়াড়ী মহাজনদের প্রতিনিধিরা হিন্দী ভাষা ব্যবহার করিত। সংবাদ-বিতরণ উদ্দেশ্য হইলেও এই পত্রগুলি আধুনিক পদ্ধতির সংবাদপত্র হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের ছিল। আখবারাতে শুধু বিশেষ ঘটনারই উল্লেখ থাকিত,-রাজনৈতিক মন্তব্য অথবা শাসন-ব্যবস্থা সম্বন্ধে কোন गभicलibनों अंकित्ठ मां । ইংরেজ-আমলে ইংরেজী সংবাদপত্রের অনুকরণে এ-দেশের এই প্ৰাচীন ব্যবস্থার পরিবর্তন হইল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বাংলা দেশে সর্বপ্রথম মুদ্রাযন্ত্র স্থাপিত হয়। তাহার ফলে জ্ঞান ও শিক্ষার ক্ষেত্রে যে নবজাগরণ সুরু হয়, সংবাদপত্র-প্ৰকাশ উহার একটি