পাতা:বাংলা সাময়িক সাহিত্য.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংলা সাময়িক সাহিত্য QS)

  • সৰ্ব্বশুভকরী পত্রিক (মাসিক ) আগস্ট ১৮৫০

১২৫৬ সালের ফাল্গুন মাসে কলিকাতার ঠনঠনিয়ায় সর্বশুভকরী সভা নামে একটি সভা স্থাপিত হয়। এই সভার মুখপত্ররূপে ১২৫৭ সালের ভাদ্র মাসে “সৰ্ব্বশুভকরী পত্রিকা’ নামে একখানি মাসিকপত্র প্রকাশিত হয় । মতিলাল চট্টোপাধ্যায় এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন । পত্রিকা প্রচারের উদেশ্ব সম্বন্ধে প্রথম সংখ্যায় এইরূপ লিখিত হয়— “...সভাসংস্থাপনের মুখ্য অভিপ্রায় এই যে, বহুকালাবধি আমাদিগের দেশে কতগুলি কুরীতি ও কদাচার প্রচলিত আছে তদ্বারা এতদ্দেশের বিষম অনিষ্ট ঘটিতেছে ও কালক্রমে সৰ্ব্বনাশ ঘটিবারও সস্তাবনা আছে। যাহতে এই সমস্ত কুরীতি ও কদাচার চিরদিনের নিমিত্ত হতাদর ও দূরীভূত হয় সাধ্যানুসারে তদ্বিষয়ে যত্ন করা যাইবেক ।... আমরা এই যে দুঃসাধ্য মহৎ ব্যাপারে হস্তাপণ করিবার মানস করিয়াছি পত্রিক প্রচার তৎসমাধানের এক প্রধান উপায় বোধ হওয়াতে এই পত্রিকা প্রচার করিতে আরস্তিলাম। এবং ইহাকে সভার প্রতিরূপ স্বরূপ বিবেচনা করিয়| তদীয় সৰ্ব্বশুভকরী নাম স্বাবাই ইহার নামকরণ করিলাম।” এই পত্রিকার প্রত্যেক সংখ্যার কলেবর একটি করিয়া দীর্ঘ প্রবন্ধে পূর্ণ হইত। রচনায় লেখকের নাম থাকিত না। প্রথম সংখ্যায় “বাল্য-বিবাহের দোষ” নামে একটি প্রবন্ধ আছে। ইহা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রচনা বলিয়া তদীয় সহোদর শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ব উল্লেখ করিয়াছেন। দ্বিতীয় সংখ্যায় (আশ্বিন ১৭৭২ শক) "স্ত্রীশিক্ষা” নামে একটি প্রবন্ধ মুদ্রিত হয়। ইহা মদনমোহন তর্কালঙ্কারের রচনা বলিয়া শম্ভুচন্দ্র উল্লেখ করিয়াছেন। প্রথম দুই সংখ্যা প্রকাশের পর সর্বশুভকরী সভায় গণ্ডগোল উপস্থিত হয়। “সভার বীজস্বরূপ বাবু তারকনাথ দত্তের সহিত সভ্যগণ আকৌশল করিলেন।” অতঃপর পত্রিকাখানি আর নির্দিষ্ট সময়ে প্রকাশিত হয় নাই ; ইহার ৩য় ও ৪র্থ সংখ্যা যথাক্রমে ১৮৫১ খ্ৰীষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হয়। ১৮৫১