পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমুন্দর వలి 7আসুন্দরের মধ্যে একটা ভাণ থাকে, সুন্দরের কোনরূপ ভাণ থাকে না—এটা লক্ষ্য করা গেছে। মিথ্যার আবরণে অমৃদর নিজেকে আচ্ছাদন করে আসে, সুন্দর আসে অনাবৃত—সত্যের উপরে তার প্রতিষ্ঠা । ৫ আর্ট যা তা সুন্দর ও সত্য, ভাণ যা ত অসুন্দর এবং অসতা । আর্ট বস্তুর ও ভাবের जडौँ:ाझे প্রকাশ করে, যা ভাণ ত৷ শুধু বাইরের জিনিষটা দিয়ে ধোক দিয়ে যায়, এই জন্য এককে বলি সুন্দর অক্ষাকে বলি অসুন্দর, এককে বলি সত্য অন্তকে বলি অসত্য। এমনি স্বন্দর অসুন্দর সম্বন্ধে নানা মতামত রয়েছে দেখা যায়। মতামত জিনিষটা সময়ে সময়ে খুব কাযে লাগে কিন্তু তার একটা দোষও আছে, সে দুর্গপ্রাকারের মতো ভারি শক্ত বস্তু এবং ভারি সীমাবদ্ধ করে দেখায় সুন্দর অসুন্দর সব জিনিষকে ; মতগুলো ছোট গণ্ডীর মধ্যে বদ্ধ করে দেখায় বলেই মন সেখানে গিয়ে ধাক্কা খায়। তর্ক স্বজনের বেলায় মতামত কাযে আসে, রসসৃষ্টি সুন্দর কিন্তু স্মৃষ্টির বেলায় মত ধরে চলে না । অসুন্দর ধোকা দেয়, অসুন্দর ভ্রান্তি জন্মায়, আসুন্দর অমঙ্গলের কারণ ইত্যাদি প্রচলিত মত সত্ত্বেও আমাদের অলঙ্কার শাস্থে “সন্দেতালঙ্কার’ এবং ভ্রান্তিমৎ অলঙ্কার’ দুটি অলঙ্কারের উল্লেখ রয়েছে—চলিত কথায় যার নাম ধোকা দেওয়া এবং উল্টে বুঝিয়ে দেওয়া । মতামত ধরে চল্লে এর মধ্যে সত্য, সুন্দর ও মঙ্গল তিনের একটিও থাকতে পারে না— কিন্তু আর্ট, যার গোড়ার কথা হ’ল সুন্দরকে দেখা ও দেখানে তার সব উপকরণপ্রকরণ ভ্রান্তি উৎপাদন করেই চলেছে, মায়াপুরী স্বজন করে চলেছে মুর দিয়ে কথা দিয়ে রঙ দিয়ে, নশ্বরে করেছে অবিনশ্বরের আরোপ । খুব পাক যাদুকরের চেয়ে আর্ট বেশী ভ্রান্তির স্বজন করছে—বিনা বীজে গাছ ফুল পাতা ফুটিয়ে ধরছে, চাদকে করে দিচ্ছে মানুষ, মানুষকে করে দিচ্ছে চাদ । সত্য, সুন্দর ও মঙ্গলের পক্ষে যেগুলো প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড বাধা তাই নিয়ে হচ্ছে রূপদক্ষ সকলের কারবার, সিদ দিচ্ছে এর মতামতের দেয়ালে যে কাঠিটি দিয়ে তার মুখে কালির মতো লেগে আছে এই মতবিরুদ্ধ যা কিছু তা । ছেলে একটা কাঠের ঘোড়া নিয়ে খেলতে বসেছে। সত্যিকার ঘোড়ার রঙ গড়ন পিটন সমস্তই এখানে বাদ পড়ে গেল অথচ ছেলে বুড়ে