পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতি ও শিল্প ২৩৭ রোগ। জাতির চোখে ঘুম আসে, এদের চোখে ঘুম নেই, জেগে থাকে এর একলা, একলা বসে খেলে এরা, একলা মালা গেঁথে চলে, বীণা বাজায়, গান গেয়ে বলে— “ছিল যে পরাণের অন্ধকারে এল সে ভুবনের আলোক পারে। স্বপন বাধা টুটি বাহিরে এল ছুটি অবাক আঁখি ফুটি হেরিল তারে । মালাটি গেঁথেছিল অশ্রাতারে, তারে যে বেঁধেছিন্তু সে মায়া হারে নীরব বেদনায়, পূজিন্তু যারে হায় নিখিল তারি গায় বন্দনা রে!” —রবীন্দ্রনাথ জাতীয় অনুষ্ঠানের ফলে দেশে বড় শিল্প বড় কাব্য আসে না—বড় বড় বাড়ী অাসে, মন্দির আসে, মস্ত জনতা আসে, মস্ত কোলাহল, সবই মস্ত প্রকাও ধুমধামের সঙ্গে সঙ্গে আসা-যাওয়া করে, কিন্তু যা কিছু সত্য বস্তু জাতির ভাণ্ডারে সঞ্চিত হয় তা ফুলের মধ্যে মধুর মতো স্বাতী নক্ষত্রের চোখের জলের মতো গোপনে নেমে আসে অদৃশু লোক থেকে ; তার আসা-যাওয়ার পথের চিহ্ন পড়ে না দেশের বুকে । যার কাছে আসে তার বুকেও সে গোপনে আসে দেশ কালের অতীত এক দেশ থেকে, সে ডাক দেয় কবির প্রাণে, সে সাড়া পৌছে যায়। কবি বলেন— • “ডাকে ডাহুকী ফাটি যাওয়ত ছাতিয় ।” এ কোন ডাক পার্থী, এ কোথা থেকে আসে যার ডাক শুনে প্রাণ ফাটে। এ কি জাতীয় খালের কাদায় বাসা বাধে ? স্বদেশী পার্থী ধরার ফঁাদে একে কি ধরা যায় না ? হেনরী মার্টিনের বন্দুকে একে