পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

에 커 S$రి রূপ কি তা বোঝাতে হয় না কাউকে, রূপ চোখে পড়লেই জানায় আপনি কি বস্তু ; কিন্তু রূপের মাধুরী সে যে অস্তরের জিনিষ, তাকে বোঝাতে গেলেও বোঝানো হয় না, রূপদক্ষ যারা তারা তা জানে কিন্তু জানাতে পারে না । যাকে জানা গেল কিন্তু জানানো গেল না তেমন বস্তু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়া চলে না, কাযেই রূপ সম্বন্ধে চর্চা করি শুকনো ভাবে, মাধুরী তোলা থাক কিছু কালের জন্ত । 彰 মাধুর্য এবং রূপ হুটোর বিষয়েই “উজ্জল নীলমণিতে” লেখা আছে । কিন্তু রূপ যে দেখলে না, রূপের মাধুরী হৃদয় দিয়ে স্পর্শ করলে ন, সে হাজারবার "নীলমণি” উল্টে পাণ্টে পড়েও কিছুই পেলে না। রূপ দেখে ভুলে যাওয়া যার হ’ল না সে পড়েই চল্লো পুথি। রূপ যে নিজের দৃষ্টির বিষয় এবং তার মাধুরী নিজের মনের বিষয়, অন্তের—এমন কি খুব বড় কবিরও—পিছনে পিছনে গিয়ে তাদের চোখে দেখলে রূপ দেখা হয় না, অন্তের দেখার মতো করে দেখা হয় । 彰 মহাকবি কালিদাস একরূপে হিমালয় পর্বত দেখে খুব সম্ভব কল্পনা করেই লিখলেন— “অস্ত্যত্তরস্তাং দিশি দেবতাত্মা । হিমালয়োনাম নগাধিরাজঃ ॥ পূৰ্ব্বাপরে তোয়নিধী বগাহ। স্থিতঃ পৃথিব্য। ইব মানদণ্ড ॥” বড় কবির দেওয়৷ এই মানদণ্ড, এ দিয়ে হিমালয় পর্বতের রূপের পরিমাপ করে দেখতে গেলে দেখবো এই শ্লোকের দুটো ছত্র এবং এরি প্রতিরূপ। এ ছাড়া আর কিছু ভাল মন্দ চোখে পড়বেই না এবং দেখবো মনও এই শ্লোকের প্রতিধ্বনি ধরে চলছে চোখের সঙ্গে পাহাড়ে ও অরণ্যে পরের দেওয়া রূপ ও রসের ভাল-মন্দর মধ্যে—রেলের উপরে গাড়ির মতো বাধা পথে । মহাকবির চশমা নিজের চশমার চেয়ে বড় চশমা, কিন্তু বৃদ্ধের চশমা যুবা চোখে পরলে অথবা যুবার চশমা বুড়োয় পরলে কি দশা হয় সেটাও তো দেখা চাই ! আমি যদি কালিদাসি করে’ লিখি যে— গিরিচূড়ার মতে উন্নত নাস, তার উপরে ধরা রয়েছে সোনার তারের দুই ধারে ধর স্থখানি মোতিয়া-বিন্দু, সে তো চশমা নয়, সে রূপ অরূপ দুই