পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরূপ না রূপ ᎽᏩ Ꮌ লেনে যে এই যোগাযোগের কৌশলই হ'ল রূপদক্ষের সাধনার বিষয়। 翻 পর্বতে পর্বতে অপরিসীম রূপের সামনে বসে’ মন একটি দিন উঠেছিল রূপের পর্দার ওপারের না-দেখা আর্টিষ্টের একটু পরিচয় পেতে । রূপকে প্রশ্ন করলেম, সে বল্লে, আর্টিষ্টকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্তেই তে। আমি আছি, আমাকে এ 'প্রশ্ন করা মিছে, আমি রূপবান রূপের মাধুরী আগলে রেখেছি, আমার আড়ালে আমার মধু। বনফুলের বুকের মধুবিন্দু তাকে প্রশ্ন করি, সে বলে, আমি কমলা ফুলের মধু, আমার উপরে ফুলের প্রতিবিম্ব, আমার ভিতরে ফুলের পরিমল । মন অধীর হয়ে বলে, ফুলের মধ্যে যে মধু ধরলে তার খবর পাই কোথা ! ভ্রমর এসে বল্পে তুমি মধু নাও তো নাও, নয় আমার পথ ছাড় । নিরুপায় হ’য়ে আমি নিজেকে তখন প্রশ্ন করি, মন উত্তর দেয়— এই যে বসে’ বসে’ নানারূপ ছবিতে নানা রস ধরছে, এগুলো মিথ্যা মায়া বলে’ যদি কোন লোক ছিড়ে ফেলে’ তোমার সঙ্গে মিলতে আসে এবং তোমার একটা ফটো তুলতে চায় তুমি তাকে কি ভাবে ? কবির সঙ্গে তার রচনা দিয়ে পরিচয় হ’ল না, তার নামটা লেখ। Photograph দিয়ে পরিচয় হ’ল—এ যেন একের লেখা পর্বত-বৰ্ণনা কিংবা রূপ-অরূপের সমস্যা দিয়ে মস্ত একটা বক্তৃতা নিয়ে হিমালয় দেখার কায হ’য়ে গেল বলে’ মনে করা । ভূগোলের এক একটা পাতায় কত নদ নদী পাহাড় পর্বত সেই গুলো পড়েই তো পৃথিবী দেখার কায হ’য়ে যেতে পারতে । ‘পরলোকভ্ৰমণ’ বলে একখানা বই আছে তাতে সেখানে পরিক্রম করবার অাটঘাটের বর্ণন এমন কি সেখানকার অধিকারী আলোর পর্দা খাটিয়ে তার মধ্যে ঘুমোচ্ছেন এও লেখা আছে। এই ভূগোল এবং ভ্রমণ-বৃত্তান্ত ছখান মুখস্থ করে দক্ষতা পাওয়া গেল বলে কেউ কি ভুল করে ? পাহাড়ে যাবার সময় উড়ো সাপের মত রেল যখন এক পাহাড় থেকে আর এক পাহাড়ে, এক মেঘ থেকে আর এক মেঘে আমাদের নিয়ে চল্লো সেই সময় পাশের একটা ছোট ছেলেকে বল্লেম, পাহাড় কি রকম ভাবতিস্ ? তার কথার পুজি কম, সে শুধু পর্বতের দিকে ই করে চেয়ে বল্পে, পাহাড় যে এরকম তা একেবারেই মনে হ’ত না । ছেলের মনের