পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২৬০
বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী

রূপবিদ্যা একে তে একদিনে কোনো এক মানুষ আবিষ্কার করেনি কালে কালে রূপদক্ষ এবং প্রতিভাবান সমস্ত এসে এই বিষ্ঠার এক এক সত্য ও তথ্য আবিষ্কার করে গেলেন, মানুষের রূপজ্ঞান ধীরে ধীরে বিকাশ পেতে পেতে ক্রমে রূপবিদ্যার সকল দিক পরিপূর্ণ করতে থাকলে । মানুষ যখন পাথরে পাথরে কাঠে কাঠে ঘর্ষণ করে আগুণ জালতে শিখছে মাত্র এবং তারও পূর্বে যে সেখানেও দেখি মানুষ রূপ লিখছে—গুহার দেওয়ালে রূপবিদ্যার প্রথম পাঠ নিচ্ছে যেন ; রূপের নকল রূপের ধারণ নামত। তার মুখস্থ এবং কাপিবুক লেখার মতো করে চলেছে তখন থেকে মানুষ । যে প্রতিভা নিয়ে মানুষ আগুন জ্বলিলে শুকনো পাতার রাশিতে সেই প্রতিভা নিয়েই মানুষ জাললৈ রঙের আগুন, যে প্রতিভা নিয়ে মানুষ লিখলে প্রথম অক্ষর সেই প্রতিভা নিয়েই মানুষ টানলে প্রথম টান ছবিতে প্রথম টান সুরে প্রথম টান তার বাকী ধনুকে। রূপবিদ্যা এই ভাবে আশৈশব মানুষের সহচারিণী হ’য়ে প্রতিভাবানের ঘর আলো করে মানবজাতির কল্যাণে নিযুক্ত রইলো। . সঙ্গীত নাট্য নৃত্য ছবি কবিতা নানা-বিভূষণ শিল্প এ সমস্তষ্ট প্রতিভা থেকে উৎপন্ন— এ সবই একই রূপবিদ্যার অন্তর্গত বলে ধরা যায়, কেননা এরা সকলেই নানা ভাবের রূপই দিচ্ছে, নানা উপাদান নিয়ে প্রতিভাবান রূপ সৃষ্টি করছে। এই সব রচনা মানুষের কি কাজে এসেছে এ পর্যন্ত এবং এখনো এ সবের দরকার আছে কি না মানুষের জীবনযাত্রার পক্ষে, এ নিয়ে সত্যই তর্ক ওঠে মানুষের মনে । শুধু এই নয়, রূপকম সমস্ত নিয়ে নাড়া চাড়া করলে একদল মানুষ আছে যারা সত্যি ভয় পায় পাছে মানবসমাজ ও সেই সঙ্গে কচি কচি মানবকগুলিও মুপথভ্রষ্ট হয় ! এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই ; রূপবিদ্যার সাধনাপথে চলতে অনেক সময়ে অনেক মানুষ অনেক ছেলে বিগড়েছে—যেন ধম সাধনের পথে চলতে গিয়ে মানুষ বকা-ধামিক হ’য়ে উঠেছে ; সেই ভাবের বকা দেখা দিয়েছে রূপবিদ্যা-সাধকের মধ্যে ষথেষ্ট পরিমাণে । কিন্তু ধমের পথ রুদ্ধ করলে কে, রূপের পথই বা রুদ্ধ করলে কোথায় ? এ সব তর্ক বিতর্ক নতুন নয়। অতি পুরাকালেও এই সব তর্ক উঠে চুকেছে, প্রতিভাবান রূপদক্ষকে যাত্বকর ডাইন ইত্যাদি বলে পুড়িয়ে মেরেছে মানুষ, তারও কথা ইতিহাস খুজলে পাই । কিন্তু এততেও রূপের অাকর্ষণ