পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২৭২
বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী

অক্ষম ছিল জগতের শিল্পী তার ঠিক নেই,—এ সব পরিচয় অজস্তার গুহায় এখনো ধরা, ইউরোপের খুব উৎকৃষ্ট ছবিতেও ধরা রয়েছে। ইতালীয় বড় বড় শিল্পী বাতাস আঁকছেন হুটো গলাফুলে ছেলের মুণ্ডু ফু দিচ্ছে মানুষের গায়ে । অজন্তার শিল্পীরা এত বড় ছেলেমানুষি করেনি সতী, কিন্তু এক জায়গায় চিত্রবিদ্যার খুব বড় দিকের বিষয়ে তখনো তাদের চোখ পৃথিবীর প্রায় সব দেশের শিল্পীর সঙ্গে একেবারেই ফোটেনি দেখ’ যাচ্ছে | সেকালে মানুষকে যদি বলা যেতো—বুদ্ধ যাত্রা করেছেন পথেদিকে—তাকে, তবে সে ঘটনার মধ্যে তিন চারবার একই বুদ্ধকে নী এ কে কিছুতে বোঝাতে পারতে না ব্যাপারটা। একটা বুদ্ধ দিয়ে তিনি ওখান থেকে এলেন, আর একটি দিয়ে এখান দিয়ে চল্লেন সেখানে পৌছতে, এই যে অতীত বতমান ও ভবিষ্যৎ ঘটনাপরম্পরার ইঙ্গিত তিনটি বুদ্ধ ন একেও দেওয়া চলতে পারে তা তখনকার দিনে অজ্ঞাত ছিল । একটা প্রতিভার ইঙ্গিতের অপেক্ষা করে ছিল পৃথিবী জুড়ে সমস্ত চিত্রকর এই কলাকৌশলটুকু লাভের জন্য । সেই প্রতিভা কোন দিন কবে কোন দেশে কার কাযের মধ্যে প্রথম দেখা দিলে, রূপবিদ্যার সাহায্যে এটা দেখতে পেলে একটা নতুনতরো দেখার চেয়ে যে কম জিনিষ দেখা এবং দেখানে হয় তা তো নয় ; একটা মূর্তি গুপ্ত রাজার আমলে না সেন রাজার আমলে এই তত্ত্বের চেয়ে একটা কম জিনিষ আবিষ্কার করা হয় তাও তে। নয় ; ভারতশিল্প সবই আধ্যাত্মিক এমনি একটা বড় গোছের রহস্ত্যের চেয়ে কিছু ছোট রহস্য ভেদ করে যাওয়া হয় শিল্পবিষয়ে তাও তো নয় ! সমস্তখানি জল স্থল আকাশের সঙ্গে সম্বন্ধ নিয়ে তবে ফোটে একটি ফুল একটি ফল, তাই তো ফুল ফলের মম এত বিচিত্র বিস্তার নিয়ে ধরা পড়ছে কবিতায় ছবিতে গানে নাচে,—কত ভাবে কত রূপে কভ কাল ধরে কত রূপদক্ষের রচনায় তার ঠিক নেই। তেমনি মানুষের দেওয়া একটি রূপ-রচনা বিশ্বের মানবজাতির ভাবনা চিন্ত সুখ দুঃখ সভ্যতা ভব্যতা শিক্ষা দীক্ষা সমস্তেরই সঙ্গে লিপ্ত হ’য়ে অাছে। মানব জাতির পুর্বাপর সমস্ত সংস্কার বাদ দিয়ে কোনো রূপদক্ষ তো ফোটায় না কিছুই সেই জন্তেই একটি রূপ কিন্তু তার ইতিহাস তার খবর জগং জুড়ে ছড়িয়ে আছে, কালকের ছবি মূর্তি কবিতা সে ধারণাতীত কালের