পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২৯৪
বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী

তারকিত অম্বরে সম্বরি সরমে বহিয়া চলেছি সাগর সঙ্গমে সুর তরঙ্গিণী জাহ্নবী সঙ্গিনী ফেনিল সলিল চুমিছে বেলা ৷” কোন ভাল-মন্দ সমালোচনা না করে এরি পাশে আর একটি লেখ৷ ধরি, আপনিই বুঝি কোনটা তরঙ্গের সামান্ত আর কোনটা অসামান্য রূপকল্পনা । পূর্বেকার লেখায় যেমন দেখছি তরঙ্গ সব সাগর সঙ্গমে চলেছে, এখানেও সেই কথা বলা হচ্ছে— “অবিনাশী ফুলহ। কব মিলিঙ্গে অাদি অস্তু কমাল ॥ জল উপজী জলতী সে নেহ। রটত পিয়াস পিয়াস । সৈ ঠাঢ়ী বিরহিল মগ জোউ খ্ৰীতম তুমরী আশ ॥ ছোড়েব গেহ নেহ লগী তুম সে। ভঈ চরণ লব লীন । তালাবেলি ঘট ভীতর জৈসে জল বিল মীন।” আদি নেই অন্ত নেই, অপরিসীম পরিপূর্ণতার সমুদ্র তারি সঙ্গে মিলতে চায় জীবন । জলের তরঙ্গ জলের সঙ্গেই তার প্রেম, জলের জন্য কত না তার পিয়াস, সাগর-বিরহিণী নদী সে পথ চেয়েই থাকলো— প্রিয়তমের আশাপথ। সাগরের প্রেম চেয়ে নদী ছাড়লে আপন ঘর, সাগরের ধ্যানে নদী রইলো স্বপ্নে মগ্ন, জল জল করে তার অন্তরের অস্তুর জলহারা মীনের সমান কাতর থাকলে । যা দেখছিলে, যাকে দেখা হয়নি, তার কল্পনা ধরে মন চলতে থাকে নতুন নতুন রূপ স্বষ্টি করে, আর যাকে দেখা হ’য়ে গেল মন তার স্মৃতি বহন করে নতুন নতুন রস পেতে পেতে একই স্মৃতিকে নানা ভাবের মধ্যে বিচিত্র করে দেখে চলে। কল্পনার ক্রিয়া আর স্মৃতির গতি দুয়েরই কায এককে বহু করে দেখা,—কল্পনা দেখায় রূপের দিক দিয়ে