পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
স্মৃতি ও শক্তি
৩০১

পড়লো ; রূপের সবটা জয় করে নেওয়া হ’ল তখনি, যখন স্মৃতির বিষয় করে নেওয়া গেল রূপকে। মানুষের রচা তাবৎ সুকুমার শিল্প বিশ্বে ধরা রূপের সঙ্গে এই ভাবের অন্তরের সম্পর্ক পাতিয়ে বসার সাক্ষ্য দেয়। অন্তরের সবটুকুর স্পর্শ পেয়ে কোথায় মধুর হয়ে ফুটলো রূপের নিবেদন, কোথায় শক্তির স্পর্শ পেয়ে রূপ সে হ’য়ে গেল স্থির নির্বাক, রূপচর্চার বেলায় এই দুই রকমের প্রকাশের দিকে লক্ষ্য রেখে চল চাই —ন হ’লে দুটো রচনার রসের তারতম্য ধরা পড়ে না । রূপ বেদন জানাচ্ছে, আকাশ বেদন জানাচ্ছে, বাতাস বেদন জানাচ্ছে, জল চলেছে বেদন জানিয়ে, মাটি কঁপিছে রঙের বেদনায়, আলোর বেদনায়। বড় মধুর এই বেদনার স্মৃতি সমস্ত—দুঃখের বেদন, স্বরের বেদন, স্বরূপের বেদন, কুরূপের বেদন। সবাই মিনতি জানাচ্ছে, সবাই বলছে মনে রেখে মনে রেখো”। সকালে পূর্বদিক বলছে— "আজকের প্রকাশ মনে রেখো, সন্ধ্যার সূর্যাস্ত বলে’ যাচ্ছে—‘এই শেষ, মনে রেখো, ভুলে না, ভুলতে দিও না—এই নিবেদন । শুকতার আসে, সন্ধ্যাতার আসে, ঋতুর পর ঋতু আসে মনে ধরাতে মনে পড়াতে ধরা পড়তে, মানুষের মাঝে তারা বুকের বাস খুজে বেড়ায়। মানুষের মধ্যে কারে প্রাণে তার স্থান পায় এই আশায়-চেয়ে থাকে জল স্থল অন্তরীক্ষে ধরা রূপ সমস্ত । সামান্য মানুষ সন্ধ্যাতারার কথা বোঝে না, শুধু দেখে’ বলে, কি সুন্দর । কিন্তু রূপদক্ষের প্রাণে তারার কথার স্মৃতি জাগে মুর দিয়ে কথা দিয়ে— “তবু মনে রেখে যদি দূরে যাই চলে। 歌 歌 将 歌 যদি থাকি কাছাকাছি দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি তবু মনে রেখো।” - —রবীন্দ্রনাথ একথা আজকের কবি শুধু নয় প্রাচীন কবিরাও বলেছেন বার বার করে। ঐরাধিকাকে দিয়ে তারা মিনতি জানিয়ে দিয়েছেন শ্ৰীকৃষ্ণের কাছে। এর মধ্যে দুই কথা নেই,—রূপ চাচ্ছে স্মৃতির অমৃত পরশ, স্মৃতির