পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
আর্য ও অনার্য শিল্প

ভারতশিল্পের ইতিহাস এবং পুরাতত্ত্ব, ছবি মূর্তি মন্দির মঠ ইত্যাদির সঠিক ছাপ ও ফটোগ্রাফ দিয়ে হাজার হাজার বই ছাপা হ’ল । চোখ এবং মন দুই নিয়ে এই বিরাট সংগ্রহের মধ্য দিয়ে চলাফের করতে করতে একটা কথা বারবার আমার মন বল্লে—কই, এতো সম্পূর্ণ ইতিহাস পেলেম না, এ যেন একখানা পুথির শেষ গোটাকতক অধ্যায় भाऊ পেলেম, পূর্বের অধ্যায়গুলো হারিয়ে গেছে। চোখ চলতে চলতে বৈদিক যুগের ক্রিয়াকাণ্ডের মধ্যে উপস্থিত হ’য়ে দেখলে সামনে হিমালয় প্রমাণ কুয়াসার প্রাচীর, তার ওপারে ভারতশিল্পের ধারা শব্দ দিয়ে ঝরছে কিন্তু দেখা নেই সে ধারার । ভারত শিল্পীদের রচনা সমস্ত ধারাবাহিক ভাবে যেমন যেমন প্রকাশ পেয়েছিল তার প্রত্যক্ষ নিদর্শন তো আমাদের চোখের সামনে ধরা নেই আজ,—এখানে গোটাকতক টুকরো, ওখানে খানিক, মাঝে মাঝে মস্ত মস্ত ফাক,—এইভাবে দেখা দিচ্ছে সব। সুতরাং খানিকটা কল্পনার সাহায্য দরকার হ’য়ে পড়ে বিষয়টা চর্চার বেলায় । চোখের দেখা গাছের শাখা পত্র পুষ্পের মতো ভারত শিল্পকলার তিন চার যুগব্যাপী এলোমেলো ভাবে ছড়ানো প্রত্যক্ষ নিদর্শন কেবলি যদি দেখে চলা যায় অপ্রত্যক্ষ মূলের রহস্য বাদ দিয়ে, তাতে করে তার আগাগোড়া জান হ’ল বা দেখা হ’ল তা বলা তো যায় না । চোখ এবং মনকে পাঠাতে হবে সেখানে মহাকালের মধ্যে যেখানে ইতিহাসের অখ্যাত যুগের ভারতবাসী আরণ্যক ঋষির র্যাদের নাম দিলেন অন্তব্ৰত—তারা কায করেছেন । তত্ত্ব অনুসন্ধানের জায়গায় কল্পনার প্রবেশ নিষেধ, কিন্তু শুধু চোখে দেখা যাচ্ছে যা, তা তো বেশী দূরে নিয়ে যেতে পারে না আমাদের । ধর, পুষ্পক রথের কথা পড়ে যদি সত্যিই কল্পনা করি আর্যদের পূর্বপুরুষ র্তার আকাশে উড়তেন তবে ভুল কল্পনা করা হয়, কিন্তু আজকের দিনে প্রত্যক্ষ হচ্ছে যে সব মন্দির মঠ তা থেকে আর্যপূর্ব জাতি কাঠ ও বঁাশ ইত্যাদি দিয়ে ঘর বাধতেন এটা কল্পনা কর। অন্তায় হয় না ; কাযেই যুক্তি-সঙ্গত কল্পনার স্থান আছে তত্ত্বানুসন্ধানের বেলায়। কি শিল্পের