পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩০৪
বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী

দিক দিয়ে, কি ধম-কমের দিক দিয়ে, আমাদের সব চিন্তা যেখানে গিয়ে ঠেকে, সেই বৈদিক যুগে গিয়ে উপস্থিত হওয়া যাক। সেখানে গিয়ে দাড়াই যেখানে আরণ্যক ঋষির যজ্ঞক্রিয় করছেন ; এই হ’ল আৰ্য সভ্যতার জ্ঞাত যা কিছু তার প্রাচীনতম সীমানা, এর পরেই আবছায়৷ —সমস্ত অন্যত্রত এবং অকমণ বলা যায় র্যাদের, তারা কল্পনা ধরে’ মনের সামনে আসা যাওয়া করেন । র্যাদের আমরা আর্য বলছি তাদের . ক্রিয়াকাণ্ড কেমন ছিল, র্তাদের মধ্যে কি কি শিল্প প্রচলিত ছিল, কি ভাবতেন তারা, এবং কি ভাবে চলতেন তারা, তার ছবি সুস্পষ্ট হ’য়ে ধরা পড়েছে আজকের কালে, জানবার বিষয় অল্পই আছে বল্লেও হয় এই আর্যগণের সম্বন্ধে। কিন্তু এই সব অন্যত্রত ও অকম র্যাদের উদ্দেশ করে ঋষিগণ বার বার নানা মন্ত্র উচ্চারণ করেছেন তারা ঋষিদের মিত্র ছিলেন না এটা ঠিক। কিন্তু ভারতবর্ষের কোন আদিতম যুগ থেকে এই সব অন্তব্রত এবং অকমণ আরণ্যক ঋষিদের আশে পাশে কেউ ঋষিদের অনুষ্ঠিত ব্রত থেকে স্বতন্ত্র ব্ৰত নিয়ে রয়েছেন, কেউ একেবারে ক্রিয়াকমর্যাগষজ্ঞহীন অবস্থায় রয়েছেন, এরা ভারতশিল্প চর্চার বেলায় কোন স্থান অধিকার করেন এসে সেটা দেখার বিষয়। নিজেদের সঙ্গে সকল বিষয়ে ধমে কমে পৃথক র্যার, তাদের বলেছেন ঋষির অন্যত্রত। অকম। বলা হ’ল তাদের র্যারা ক্রিয়াকাণ্ড-হীন জীবনযাত্র ধরে রয়েছেন । অন্তব্ৰত—র্তারা ব্রতধারী, কিন্তু আর্যদের সমান ব্রত পালন করছেন না—যেমন আজকের হিন্দু এবং ক্রীশ্চান দুজনেই একই আর্যজাতি, কিন্তু ব্রতের দিক দিয়ে উভয়ে উভয়ের কাছে স্বতন্ত্র ও অন্যত্রত বলে পরিচিত হচ্চে । ঋষিরা যাদের বলেছেন অকমা, নিশ্চয়ই তাদের কোন জীবলীলার কোন চিহ্ন ধরা নেই কোথাও—তারা খেয়েছে, বেড়েছে, মার খেয়েছে ও মরেছে। তাদের ভাবনা চিন্তা ছিল নিশ্চয়, কিন্তু সেগুলো পাথরে মন্দিরে সাজে সজ্জায় নাচে গানে নিরূপিত হ’তে পেলে না। মানুষের ক্রিয়াবান অবস্থারই প্রকাশ হ’ল শিল্পকলা, অকম। তারা অশিল্পী, শুধু তারা বর্বরের মতো অন্যের ক্রিয়া পণ্ড করেছে। নিক্রিয় এরা সব ছায়ামূর্তির মতে কেবল বাসই করেছে ভারতবর্ষে, ভূ-ভারতের ইতিহাস গঠনের মধ্যে