পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
আর্য ও অনার্য শিল্প
৩০৭

শিল্প সাহিত্য ভাষা ইত্যাদির ক্রমবিকাশ পরিষ্কার ভাবে ধরার পক্ষে অনেকখানি সুবিধা পাওয়া যায় বলে মনে হয়। অকর্ম যারা ছিল তারা সাদাই থাক বা কালোই থাক কোন চিহ্ন ধরেনি নিজ নিজ কমের, শুধু এরা অন্যের ক্রিয়া পণ্ড করেছে— এইটুকু ঋষিদের কথা থেকে পাচ্ছি, সুতরাং এদের আর্য ও অন্যত্রতদের থেকে সম্পূর্ণ অন্ত বলে ধরলে বিশেষ কায আটকায় না। কিন্তু অন্তব্ৰত অবস্থার মানুষের আচার ব্যবহার ক্রিয়াকাণ্ড সমস্তর হিসেব যা আজকের ইউরোপীয় পণ্ডিতের সন্ধান করে বার করেছেন, তার সঙ্গে পৃথিবীর তাবৎ আর্যজাতির ক্রিয়াকাণ্ডের সঙ্গে মিল দেখা যাচ্ছে এবং সেই রাস্ত ধরে ইউরোপে যে সকল আর্যগণ বসতি করছেন তাদের শিল্প ধম কম সমস্তেরই নতুন পন্থায় চর্চা হচ্ছে, ভারতশিল্পের বেলায় এর ব্যতিক্রম করা ঠিক নয়। আর্য বলতে একটা পদবী বোঝায়, কিন্তু এই পদবীতে উপনীত হবার আগের ধাপ যে আর্যেরা অতিক্রম করেননি, এমন তো নয় । এক সভ্যতার এক ভাবের পরিক্রম ও আন্দোলন বহু দেশ বহু জাতি বহু যুগ ধরে হয়েছে। আর্যাবৰ্ত্তের ঠিক রূপটি কি এই ? না, বলব অনেকখানি বিস্তার নিয়ে স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র চক্রে যা রয়েছে তার পরিণতি হ’ল একে ? একটা আবর্তের দুটো গতি আছে, সে দুটি হচ্ছে বহিমুখী এবং অস্তমুখী, তলিয়ে রয়েছে যেটুকু তা বিস্তার পেতে চাচ্ছে, উঠে আসতে চাচ্ছে, ছড়িয়ে রয়েছে যতখানি তা ঘূর্ণিপথে তলিয়ে চলেছে একটি দিকে। যাগযজ্ঞে ব্ৰতী হ’ল যারা সেই সব আরণ্যক মানুষ এবং তাদের থেকে বাইরে বাইরে নানা ব্রতধারী মানুষ—এরা হয়তো ভিন্নজাতীয়, হয়তো নয়, কিন্তু আর্যাবর্তের আগাগোড়া গঠন এরা দুয়ে মিলে দিলে,—তলার জল এবং উপরের জল যেভাবে রচনা করে আবত, সেইভাবে কায করলে আর্যধম আর্যশিল্প আর্যভাব—এক কথায় অাদ্যস্ত মহাভারতের সবটা, এ যেন স্পষ্ট দেখি । - যজ্ঞাদি কমনিরত একটি মণ্ডলী, এরি বাইরে যারা তাদের সম্বন্ধে ঋষির বলছেন—“আমাদিগের চতুর্দিকে দস্থ্যজাতি আছে, তাহারা যজ্ঞ করে না, তাহারা কিছু মানে না, তাহারা মনুষ্যের মধ্যেই নয়, তাহাদের ক্রিয় ভিন্ন রকমের। হে ইন্দ্র, তুমি তাহাদিগকে বিনাশ কর।” যার