পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
আর্য ও অনার্য শিল্প
৩১১

উষাদেবতার মূর্তি ঋষির ভাষায় ফোটালেন এবং তার পরে কালে কালে কি ভাবে সেই একই উষার কল্পনা পাটায় পটে ইটে কাঠে পাথরে. সাহিত্যে সঙ্গীতে প্রতিষ্ঠিত হ’ল তা দেখলেম, কিন্তু ঐ উষা ও স্বস এবং ঐ যে কৃষ্ণবর্ণোস্তব শ্বেতবর্ণ। এদের প্রতীক আর্যেতর এবং অন্যত্রতদের দেওয়া নয় এটা ভাবাই ভুল। রেড-ইণ্ডিয়ান ইণ্ডিয়ান হিসেবে যে আর্যগণের জ্ঞাতি ভ্রাতা—ত। ঠিক করে এখনো বলা চলে না, কিন্তু এটা অভ্রান্তভাবে স্থির হয়ে গেছে, এই রেড ইণ্ডিয়ান তারা খুব প্রাচীনকাল থেকেই নানা রঙ দিয়ে ব্যক্ত করেছে. সকাল-সন্ধ্যা জল-হাওয়া আকাশ-বাতাস এবং নানা ঋতুপর্যায় এবং জীবন-মৃত্যুও । ঐ রেড-ইণ্ডিয়ান তাদের কাছে শ্বেতবর্ণ Misa cotto—White innocence, awakening, disclosing the first glimpse—tol gigi Ato fo as রাত্রিকে কৃষ্ণবর্ণ উষার স্বসা বলেছেন আর্য ঋষিরা। রেডইণ্ডিয়ানরা সায়ংসন্ধ্যা বোঝাতে এবং বৃষ্টি বোঝাতে ব্যবহার করছে * 6 of Yellow streak crossed with black lines symbolise rain and the evening sky, rain is commonly represented by eight vertical lines painted black. Aftāl বলছেন, “বিচিত্র রূপবতী অহোরাত্র দেবতাদ্বয়, এই পর্যায়গামিনী দেবতাদ্বয়ের মধ্যে কৃষ্ণবর্ণ যিনি তিনি পদার্থসমূহ গোপন করেন, অন্যজন তাহ প্রকাশিত করেন। এই কালো রঙ সম্বন্ধে রেড-ইণ্ডিয়ানদের ধারণা হ’ল— Black covers and hides, ofCasi Cotto on, of old on ; it is a line seldom seen in nature, for her days and years are full of promise. ভারতের আর্যগণ এবং আমেরিকার রেডইণ্ডিয়ান এ দুয়ের জাতিগত ঐক্য প্রমাণ হ’ল না তাতে বড় আসে যায় মা, এক চিন্তা আর্ষে অনার্যে, এক শিল্প আর্যে অনার্যে, এর সাক্ষ্য অগ্রাহ হ’তে পারে না আর্য সভ্যতারই ইতিহাস চর্চার বেলায়। আমাদের দেশেই আর্যেতর জাতি এখনো বিদ্যমান যার অন্ত ব্ৰত পালন করছে। গারো এবং খাসিয়া পাহাড়ের এই আর্যেতর জাতির এক কবি তার সামনে নবীয়সী উষার মতে যখন প্রেয়সী এসে উপস্থিত হ’ল তখন ঋষিদেরই মতে সেও বর্ণনা করলে ছন্দে–