পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্যশিল্পের ক্রম ●sፃ শিল্পকলাকে পাবার জন্ত—এরও প্রমাণ পাচ্ছি বৈদিক যুগে। জ্ঞানের উৎকর্ষ সব দিক দিয়ে পাবার জন্য ঋষিরা তপস্যা করছেজ যখন তখন দেখি অন্ত আর এক সমাজের মানুষ তার অন্তব্ৰত হ’লেও মানব শিল্পের উৎকর্ষের হিসেবে আরণ্যক ঋষিদের চেয়ে একটু যেন উপরে রয়েছে— লোহার কেল্লা স্বরক্ষিত নগর নির্মাণে পটু অস্ত্রচালনায় মুদক্ষ ইন্দ্রেরও প্রতিদ্বন্দ্বিত করে এমন সব অন্তব্রত তারা। 源 •o ইন্দ্রের দূতী সরমা যখন পণিগণের নিকটে এসে ইন্দ্রের বীরত্ব বর্ণন মুরু করলেন সেই সময়ে পণিগণ উপহাস করে বল্লে—ইন্দ্রের কথা ‘ਿ বল ? আমাদেরও অস্ত্রশস্ত্র আছে এবং 'যুদ্ধবিদ্যায় আমরাও একেবারে অপারগ নই। বৈদিক যুগে প্রধান দেবতা হলেন ইন্দ্র। এই ইন্দ্রের মূর্তি ঋষির যে ভাবে কথায় ফুটিয়েছেন তাতে করে তাকে হিন্দু আমলের ঐরাবতে চড়া নধর মূর্তিতে আমরা দেখতে পাইনে। বেদের ইন্দ্র রথে চড়ে যুদ্ধে চলেন, ঘোড়ায় চড়ে যজ্ঞে আসেন। আমাদের সুপরিচিত সূর্যমূর্তির কিংবা কল্কি অবতারের সঙ্গে কতকটা মিল দেখি বেদের ইন্দ্রের—“অভিমুখবত ইন্দ্র, অামাদিগকে আশ্রয় ও ধন দানের জন্য আমাদের নিকটে অশ্বে আরোহণ করতঃ আগমন করুন। --- যিনি পর্বতের ন্তায় প্রবৃদ্ধ ও মহান, যিনি তেজস্বী, যিনি শত্রুর পরাভবের জন্য সনাতন কালে উৎপন্ন হইয়াছেন।” ঋষিরা যাদের নাম মন্ত্র উচ্চারণ করেছেন সে সব দেবতা সূর্য চন্দ্র গ্ৰহ নক্ষত্র মেঘ জলরূপেই ছিল তাদের চোখের সামনে-সাক্ষাৎ অগ্নি সাক্ষাৎ সূর্য ; সুতরাং খুটিনাটি মূর্তির ধ্যান তার দিলেন না—যদিও মূর্তিশিল্প বড় একটা এগোয়নি, কিন্তু অন্যান্য শিল্প ব্যাপার চলেছে দেখি– বস্ত্র অলঙ্কার রথ শকট এবং নানা তৈজসপত্র এ সকল প্রস্তুত হচ্ছে দেখা যায়। বৈদিক যুগে মাটির বাসন হাড়ি-কুঁড়ি জাত এবং লোহা ও নানা প্রকারের ধাতু ঢালাই করে অস্ত্ৰ শস্ত্র ইত্যাদি গড়তে গড়তে এই ভাবে কত যুগ কেটেছিল আর্যগণের প্রতিমাগঠনের শিল্প জানার পূর্বে তার ঠিক নেই। রামায়ণ থেকে পাওয়া যায় স্বর্ণ-সীতার কথা । সেই যদি ধরা যায় প্রথম প্রতিমা গড়ার আরম্ভ আর্যজাতির, তবে বলতে হবে সেটাও