পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্যশিল্পের ক্রম \ల్సిన কল্পতরু ইন্দ্ৰধ্বজ অশ্বমেধের ঘোড়া সূর্যরথের একটি চাকা—এমনি নানা প্রাচীনতম কল্পনা নতুনতরো প্রতীক দিয়ে ধরে চলেছে মানুষ পাথরের ভূপের গায়ে। সাহিত্যে জাতকের উপাখ্যান সমস্ত বলে চলেছে কোন আর্যপূর্ব যুগের বনবাসী অবস্থার নানা জন্তু-জানোয়ার সমস্তর উপাখ্যান। এই বৌদ্ধযুগে অার্যেরা যেন আর একবার পুনরাবৃত্তি করে চলেছে সব দিক দিয়ে সেই পুরাতনী উষার আলো-অন্ধকারে ঘেরা অবস্থা, রাবণ রাজার অশোকবনের স্মৃতি অনেকখানি। মায়াদেবীর অশোকতলার মূর্তিখানিতে দেখা গেল, বুদ্ধের কণ্ঠক ঘোড়া ইন্দ্রাদি দেবতা তাকে অনুসরণ করেছেন, ধর্ম চক্র সে একচক্র সুর্যের আকারে দীপ্তি পাচ্ছে স্তম্ভের উপরে, সাঞ্চিস্তৃপের কল্পতরুর ছায়ায় বুদ্ধের চরণচিহ্ন মনে পড়াচ্ছে শ্রীরামের পাছক কিংবা তারও আগেকার বনস্পতির পূজাটি । , নতুন ভাবের নতুন উন্মেষ, নতুন শিল্পের নতুন উন্মেষের লক্ষণ সুস্পষ্ট ধরা পড়ে বৌদ্ধ-শিল্পের প্রথমাবস্থায়। যুপ-কাষ্ঠ নেই, হয়ে গেছে তারা পাথরের স্তম্ভ একটার পর একট, এবং সেই সব স্তম্ভের শিখরে সিংহ হস্তী পশু পক্ষী যারা অার্যেতর অবস্থার দেবতা এবং পরে দেবতার বাহন হ’য়ে পড়লে তারা শোভা পাচ্ছে যুপে বাধা জন্তু। পাথরের সঙ্গে তখন নতুন ভাব করছে শিল্পীরা, কাঠের উপরের কারুকার্যের অভ্যাস সম্পূর্ণ ভুলতে পারেনি, চৈত্যবিহার গিরিগুহ সব জায়গাতে এরি ছাপ রাখছে শিল্পীদের হাত। বৈদিক দেবতার ধ্যানের অবশেষ তখনো মনে রয়েছে—ইন্দ্রের বজ বৌদ্ধযুগের অলঙ্কার-শিল্পে স্থান পাচ্ছে মুগঠিত রূপ পেয়ে, “দ্বা সুপর্ণ” তার হংসমিথুন হয়ে দ্বারের উপরে উড়ে বসছে, অতি প্রাচীন ঋভুগণের নির্মিত রথের চাকা ধৰ্ম চক্র এবং চাক চাকা পদ্ম ফুলের রূপ ধরে নতুন শোভা বিস্তার করছে চৈত্যে বিহারে মঠে প্রাসাদে। মানুষের আর্য অবস্থার এবং তারও পূর্বেকার স্মৃতি ও কল্পনা বৌদ্ধ-শিল্পের প্রত্যেক পাষাণে আপনাদের ব্যক্ত করে চল্লেী, তারপর একদিন বুদ্ধের ধ্যানী প্রতিমা গড়তে সুরু করলে শিল্পীরা । আর্য্যেতর জাতির শিল্পচেষ্টা এবং আর্যজাতির উৎকৃষ্ট চিন্তা এক পরিণয়-সূত্রে_ধরা_পড়লো বুদ্ধপ্রতিমাতে। এই সময়ে গ্ৰীক শিল্পী কেউ গান্ধার দেশে বুদ্ধমূর্তি গড়তে চেয়েছিল কিন্তু ঠিক মূর্তি সঠিক প্রতিমা দিতে পারেনি—তারা কাপড়