পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপ ৩২৭ দেখি %اپ টমি + *- পরশ পাচ্ছে না একটুকুও যুক্তির- ..هم ... - যখন প্রাচীন প্রথার মধ্যে কিংবা আধুনিক কোনো বাধা প্রথায় রূপকে ঢালাই হ’তে দেখি তখন আমার আতঙ্কের সীমা থাকে না—জলের মাছকে বড়শী দিয়ে গেঁথে হাড়ির মধ্যে মুক্তি দেওয়ার মতে ঠেকে ব্যাপারটি। রূপ-সাধককে, এই রকমের নিষ্ঠুর খেলা খেলতে হয় শুধু রূপবদ্ধ হ’লে কি হয় আর ছাড়া পেলেই বা কি হয় তা জানার বেলায়, কিন্তু রূপ সমস্তকে রসের প্রশে মুক্তি দেওয়াতেই রূপদক্ষের আনন্দ ও চরম সর্থকতা এ কে না বলবে_L একটা মাটির ঢেল এক চাংড়া পাথর তাদের রূপ নিরেট করে’ বাধা নিয়তির নিয়মে–একেবারে সুনির্দিষ্ট রূপ, কিন্তু সেই ঢেলা আর পাথর রূপদক্ষের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে যখন আসে অপরূপ সব মূর্তি ধরে, তখন মানুষ তার পূজো দেয়, তাকে প্রেমালিঙ্গন দেয়, খেলা করে মাটি পাথর মানুষের সঙ্গে। পাষাণ দিলে বর অভয়, পাষাণ দিলে ভিজিয়ে মন—এ অঘটন কি ঘটতে যদি না মুহস্ত রূপদক্ষ তারা পাষাণকে তার জড়ত্বের কঠিন কারাগার থেকে মুক্তি না দিতেন ! অনড় পাথর নটরাজ মূর্তিতে নাচলে, অচেতন পাষাণ সে চেতনার স্পর্শে আর এক জীবন্ত সুন্দর মূর্তির মতোই চমকে উঠলো থমকে দাড়ালো। নবজীবন দিলে রূপদক্ষ তাদের এ যেখানে আলে৷ সেখানে অন্ধকার যেখানে সোজ৷ সেখানে বঁাকা, জড় পাষাণের কাঠিন্তের সঙ্গে মেশা সজীবতার তারল্য, এই ছন্দ রূপের জগতে মানুষ প্রথম এসেই লাভ করেছে সহজে, এই বাতাসের মতো সহজে । এ ছন্দ ভাঙলেই সর্বনাশ ! এই কাঠিন্য, এবং তারল্যের ছন্দে গাথা মানুষের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সবটাই। দূরের পাহাড় সে জানায় এই ছন্দটি । চাদ সে আলো অন্ধকারের ছন্দ ধরে’ মুন্দর, রাত্রি ঘিরে আছে তবেই পূর্ণ চন্দ্রের রূপ আছে, প্রতিপদের চাদ সে আর এক ছন্দ ধরে’ মনের আকাশে ভাবরূপে বিদ্যমান হ’ল—সে আছে অথচ নেইও। এই ছন্দ। ছবিতে মূর্তিতে কবিতায় গানে শুধু ফুটন্ত রূপ নিয়ে কারবার নয় আর্টিষ্টের—দেখা না-দেখা দুই রূপ মিল্লে তবে ছন্দোময় হয় কায । ফটোগ্রাফ শুধু দৃশ্য রূপের মধ্যে বদ্ধ, কাযেই ছন্দ ছাড়া রূপ দিয়ে চলে সে। রেখার কাঠিন্য ও রেখার তারল্য—এই