পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপের মান ও পরিমাণ WSS6. দিক থেকে অমুকুতি সে মিল্লো আসলের সঙ্গে আবার অনেক দিক থেকে মিল্লোও না—আসল সাপ দংশন করে কুণ্ডলী পাকায় চলে'ফেরে মরেও, ফটোর সাপ তা করে না, আসল ফুল ফোটে গন্ধ বিলায় শুষ্ক হয় ঝরে’ যায়, ফটোর ফুল তা করে না । কাযেই এ ভাবের প্রতিবিম্ব সে খাটোই রইলো, স্বয়ংরূপের সমান হ’তে পারল না, অনুরূপ কিন্তু স্বয়ংরূপ নয় মোটেই। ফটোটা ঠিক মানুষটির মান পরিমাণ ধরে ছাপানে গেল রঙও করা গেল কিন্তু তবু দেখি মানুষটির স্বয়ংরূপের সঙ্গে অনেক খাটো থেকে গেল সে। ফটে। এই কারণে প্রমাণ করতে পারলে নী যে সে একটি স্বয়ংরূপ। স্বয়ংরূপ যে তার নিজস্ব মান পরিমাণ ও পরস্ব মান নিয়ে সলীল গতিশীল সশ্বাস সনিমেষ, জগৎ-রূপের সঙ্গে স্বতন্ত্র এবং একও বটে, সে কারু সমান নয় কারু প্রতিধ্বনি প্রতিরূপ প্রতিবিম্ব ও নয়। ঠিক এরি উল্টো হ’ল ফটোগ্রাফ—এ একের অনুরূপ ও সমান। স্থির জলে উড়ন্ত পার্থীর প্রতিবিম্ব—সত্য পার্থীর মতো সে উড়লে চল্লো বটে কিন্তু পাখী গাইলো কই । কলের পাখী চল্লে বল্পে কিন্তু খাচা খুলে দিলে পালালো না ধান ছড়ালে খেয়ে গেল না। সমানের আদর আছে কাযের জগতে—একটি টাকা আর একটি টাকার সমান না হ’লে কায চলে না । স্বভাবের নিয়মে সমান দুটো কিছুই নেই কিন্তু দোকানে আফিসে স্কুলে সমান চেয়ার বেঞ্চ আলমারি দেখি । সমানের মাপকাঠি যেটা কাযের জগতে খাটিয়ে চলেছি আমরা তাতে করে শিল্পজগতে কলে ছাটা একরকমের জিনিষ অনেকগুলো এসেছে দেখি। রেল গাড়ির চাক, রেল লাইন, কাচের বতন, টেলিগ্রাফের তার, দ্বাদশ মন্দির, তার ঘাটের ধাপ ইত্যাদি একটার পরে একটার সমান। ' অসমানের কৌশল রইলো স্বভাবের হাতে আর রইলো রূপদক্ষের হাতে—দর্জির হাতে দোকানির হাতে কম কারের স্বর্ণকারের হাতে। এমনি যারা রূপের ব্যবসাদার তারা সপরিমাণ ও সমান মাপে গড়ে চল্লে রূপ, কেননা একটা জিনিষের সমান হাজারটা না হ’লে ব্যবসা চলে না এদের । মিলিটারি ডিপার্টমেণ্ট একটা ইউনিফরম মাপ দিয়ে দিলে দর্জির হাতে এবং রিক্রুটিং অফিসার সেও এই সমানের মাপ ধরে যেছে চল্লো সেপাইগুলি, ইউনিফরম গায়ে ঢুকলে সবাই যুদ্ধক্ষেত্রে। ফৌজের জন্তে টোটা বন্দুক যারা প্রস্তুত করছে তাদের হাতে রয়েছে নানা ধাতু O. P. 14–44