পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাবণ্য ᏬᏄ☾ ছন্দে ধরে লেখা যায় না বলেই গদ্য অনেক সময়ে কানে খটোমটো ঠেকে। - - কবিতাতে ছন্দ গতি দেয় কথাগুলোকে, নানা লয়ে বিলয়ে প৷ ফেলে চলে কথাগুলো ছন্দের বশে । কথার লাবণ্যের দিকে দৃষ্টিপাত করা গেল না কিন্তু ছন্দে গাথা গেল কথাগুলো, তাতে করে কাজ হ’ল না —দু’এক ছত্র কবিতা থেকে-বোঝাতে চেষ্টা করি। মা সরস্বতীর পুাদপদ্মে যেন ভক্তি থাকে—এ হ’ল নিছক কেজো কথা - এইটেই শুধু ছন্দে গেঁথে ফেল্লেম লাবণ্যের দিকে নজর না রেখেই— “হে মা ভারতি । দিলাম প্রণতি তোমারি সরোজ চরণে ” আবার আর এক কবি ঐ কথাই কথার এবং ছন্দের লাবণ্য বজায় রেখে বল্লেন— “নমি নমি ভারতি— তব কমল চরণে ” শুধু ছন্দে গতিমান হয়েও কথা বেশিক্ষণ চলতে পারে না, লাবণ্য দিয়ে ছন্দে গাথা হ’ল কথা, তবে হ’ল রচনাটি উত্তম । এমনি ছবির বেলাতেও রূপ-রেখাগুলি লাবণ্য দিয়ে বাধা হ’ল তবে হ’ল কাজ । গাড়ীর চাকা মিস্ত্রী ঠিক ছন্দে বাধলে কিন্তু কারখানার বড় মিস্ত্রী ছচার পোচ চর্বি মাখিয়ে দিলে তবে নিখিরকিচ, চাকা ঘুরলো। আনাড়ির, হাতের রান্নায় কিংবা তার প্রস্তুত করা জিনিষে লাবণ্যের অতিরেক কিংবা ব্যতিরেক ঘটেই,—হয় বেশি মুন নয় কম নুন । পাউডার মাখলে তো এমন মাখলে যে একটা রাফুলী সেজে দাড়ালো মেয়েট, ছেলেটা চুল বাগালে তো এমন ছাটন দিলে যে তার চেয়ে মাথাটা মুড়িয়ে এলে ভাল দেখাতে। লবণিমার ওজন বোঝা সব চেয়ে কঠিন ব্যাপার,— সুপকারের পক্ষে এই কথা রূপকারের পক্ষেও ঐ কথা। এটা তো রোজই দেখা যায় যে, মাসিক পত্রের হাফটোন ও ত্রিবর্ণের ছবিতে আসলের লাবণ্যটি ভেস্তে যায় এবং কাগজওয়াল সেইগুলো দেখেই আর্টিষ্ট ও আট-শিক্ষার্থীর মমর্শন্তিক সমালোচনা করে বসে। আসল ছবির বিচিত্র বর্ণচ্ছটাকে তিন বর্ণের কাটছাটের মধ্যে ধরাতে জিনিষটার লাবণ্য আরবী থেকে বাংলাতে তর্জমা করার চেয়েও বেশি পরিমাণে ভেস্তে যায়,