পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাদৃশ্য やルrQ পেতে চল্লো, কিন্তু আর্টিষ্টের কাছে এই সাদৃশ্ব আদর পেলে না,— নটরাজের পায়ের তলায় প্রলয়ের দ্বিনে পৃথিবী টলমল করছে এটা একটা গোরু দিয়ে বোঝাতে চল্লো না আর্টিষ্ট, সহস্রদল পদ্মের সঙ্গে সাদৃশ্ব দিয়ে বসলে ! বসুন্ধয়া ব্রত করছে গায়ের মেয়ের । সেখানেও বস্থমাতাকে গোমাত সদৃশ করে আলপনা দিলে না, একটি পদ্মপাতায় একটি মাত্র জলবুদবুদ এরি সাদৃশ্ব দিলে ব্ৰতচারিণী কুমারী শিল্পী । বিয়ের বেলায় নানাদিকে উপযোগিতা নিয়ে কথা ওঠে, উপমা দেবার বেলাতেও তাই। সাদৃশ্যসূত্রে দুই বিভিন্ন এক হ’য়ে মিলতে চল্লো কি না তাই উঠল লাখে কথা। আর্টিষ্ট হ’ল ঘটক, সে উপমান উপমেয় দুয়ে মিলিয়ে দেওয়ার কাছ করে। নরগণে রাক্ষসগণে যে মিলতে বাধা এটা যেমন ঘটক জানে, তেমনি কোন রূপে কোন রূপে মিশতে বাধা নেই বা বাধা আছে তা জেনেই কাজ করে আর্টিষ্ট । অনেক বস্তু সহজে এ ওর উপম হ’য়ে উঠলে দেখছি, অনেক বস্তু টেনেবুনে দড় দড়ি দিয়ে বাধা হ’য়ে এক হ’তে চল্লো কোন রকমে খুঁড়িয়ে, আবার অনেক বস্তু ভাবের বাধন পরলে কিন্তু রূপে রূপে সাদৃশ্যের বাধন মানতেই চাইলে না কিংবা হয়তো স্থান কাল পাত্র হিসেবে মিল্লো পাচপাচি রকমে। লুচির সঙ্গে চন্দ্রের উপমা বদ্‌রসিকতার চূড়ান্ত বলেই বলি, কিন্তু এরূপ সাদৃশ্ব ছবিতে চল্লো কেননা আকাশে লুচি ধরে’ দিলেও ছবি চাদই বোঝাচ্ছে, স্থান কাল পাত্র হিসেবে এই বিশ্ৰী উপমাও কথায় কথায় বেশ একটু রসের স্বজন করেছে দেখা গেছে। আমার এক রসিক বন্ধু তিনি হ’লেন একাধারে ভোজন-রসিক এবং কলা-রসিক দুইই। একবার মাঘীপূর্ণিমাতে বন্ধুটি কোন এক অজ পাড়াগেয়ে বিয়ের ভোজে বসেছিলেন। পাতে লুচি ও ধারে খোলা ছাদের উপরে পূর্ণচন্দ্ৰ—ব’লে বসলেন, “এ যে দেখি এখানেও পূর্ণচন্দ্র, ওখানেও পূর্ণচন্দ্র।” স্থান কাল পাত্র বুঝে সে-ক্ষেত্রে লুচি ও চাদের উপমাট উপযুক্ত হ’লেও ঐ ভোজের সভা ও হাসির কোঠাতেই মানালো । তা বৈরূপ্য দেবার দরকার হ’লে বেঢপ উপমা কাজে লাগে। গাল দুখান৷ যেন পাউরুটি—এ একটা বিরূপ সাদৃশু দিলে, গোলাপফুলের মত টুকটুকে গাল, আপেলের মতো গাল—ও সব সাদৃশ্য অপরূপ রূপস্থষ্টির সময়ে এবং কনে সাজানোর বেলায় বড় দরকারী হ’য়ে পড়ল। এমনি দেখি О. Р. 14—49