পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাদৃশ্য రిఫ్రె) ঋষিরা জোর করে-টেনেবুনে ঘরের মেয়েটি বলে বর্ণনা করে গেলেন তো উষা নিশ্চয় ঐ মেয়েটির সাদৃশ্ব ধরে রোজই আসতে। তাদের কাছে। কাজেই বলি সাদৃশ্য উপমা এ সবই একটা একটা মনগড় কিছু নয়, রূপ সমস্ত আপনা হতেই ভাবুককে দেখা দেয়—এ ওর সদৃশ এবং উপম হয়ে। অলঙ্কারশাস্ত্রে ভ্রান্তিমৎ অলঙ্কারের কথা বলা হয়েছে। এই ভ্রান্তি দিতে হ’লে আসলের অভ্রাতু নকল দিতে হয়। সোন। আর মিনাকারি দিয়ে এমন অভ্রান্ত আকৃতি দিলে স্বর্ণকার সোনার প্রজাপতিকে যে ভুল হ’ল আসল বলে ; এট। સૂરે কৌশলের পরিচয় দিলে, কিন্তু শিল্পীর শিল্পজ্ঞানের খুব বড় পরিচয় দিলে না এ ভাবের সদৃশকরণ । ঢাকা ও কটকের ভাল কারিগর সোনার তীরে যখন চমৎকার প্রজাপতি ফুল খোপার জন্য গড়লে তখন তাকে বাহবা দিতেই হ’ল ওস্তাদ বলে।’ ইন্দ্রপ্রস্থের স্ফটিকের দেওয়াল ভ্রান্তি দিয়েছিল দুর্যোধনকে, দেওয়ালকে দ্বার বলে জেনেছিল বেচার— “স্থানে স্থানে প্রাচীরেতে স্ফটিক মণ্ডন , দ্বার হেন জানিয়া চলিল দুর্যোধন ॥ ললাটে প্রাচীর লাগি পড়িল ভূতলে। হূেরিয়া হাসিল পুন সভাস্থ সকলে ।” এই হ’ল নিম্ন শ্রেণীর ভ্রান্তিমৎ সাদৃশ্বের উদাহরণ। এ শুধু বরঠকানো খাবারের জিনিষের মতো জিনিষ দিয়ে ক্ষান্ত হ’ল, ঠিক ঐ মিনেকরা প্রজাপতি যা করলে তাই। আবার আর এক রকমের সাদৃশু, সেও অন্য রকমে ভ্রান্তি দিলে ; কিন্তু প্রতারণা করলে না দর্শককে, যেমন— “রথ-চুড়া পরে শোভিল পতাকা আচঞ্চল যেন বিদ্যুতের রেখা।” যেমন সবুজ মখমলের মসনদ মনে পড়ালে তৃণভূমি, সেখানে প্রতারণা নেই, কিন্তু মাটির আম সে নিছক ভ্রান্তিই জন্মালে রসালে। আমের—চিবোতে গিয়ে দাত পড়লো। প্রতারণা কৌতুক ইত্যাদি নানা ব্যাপার কাজ করলে সে রকম সাদৃশ্য দেবার বেলায়। এখন দেখি যে বহুরূপী যে ভাবের সাদৃগু দিলে তাকে ভাণের কৌশল বলা গেল—মানুষ দিলে বাঘের চেহারার এবং হাক-ডাকের