পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাদৃশু Lකුම් “মই প্রভুর বিয়োগ মঙ্গল হয় মোর, যেখানে যেখানে যাই প্রভুরে দেখিতে পাই প্রেমরসে হইয়া বিভোর ।” ঐ যে বল্লেন কবি— “সৰ্ব্বদাই হু হু করে মন, বিশ্ব যেন মরুর মতন।” থেকেও নেই কিছুই এই ব্লকুমটা ছবি দিয়ে প্রকাশ করা কঠিন। সাদা কাগজ দিয়ে তো নিশ্চিন্ত হতে পারিনে, কাযেই যে লোকটি বিশ্বটাকে মরু বলে দেখছে, হয় তার দৃষ্টির শূন্তত দিয়ে নয়তো সে যে দিকটাতে দেখছে সেই দিকের উদাস উদার মাঠখানা দিয়ে কোন রকমে ব্যাপারটা বোঝাতে হ’ল চিত্রে। ধৌত বিঘটিত লাঞ্ছিত ও রঞ্জিত এই চার অবস্থা হ’ল চিত্রের। লাঞ্ছিত অবস্থা সাদৃশ্যে—ছবি রূপের ও ভাবের। এই যে সাদৃশু সেও আবার তিনটে আলাদা ধারা ধরে তিন শ্রেণীতে ভাগ হ’য়ে গেল দেখি । প্রথম, ঘটনামূলক সাদৃশু—নিছক প্রতিরূপ পেলেম সেটি দিয়ে। বন গাছ আকাশ জল পর্বত ঘর বাড়ী সহর গ্রাম ; বাজার বসেছে, লড়াই হচ্ছে, গরু লাফাচ্ছে, ঘোড়া দৌড়চ্ছে, ছেলে খেলছে, নেীকে চলেছে ইত্যাদি স্থানচিত্র ও দৈনিক ঘটনাবলীর ছবি ; পোট্রেটু পেন্টিং পর্যন্ত এসে গেল। ঘটনা-সাদৃশ্যে দৃষ্টরূপ প্রধান স্থান পেল । এর পর এল কল্পনামূলক সাদৃশ্য। এটি দিয়ে মনঃকল্পিত যা কিছু অবতারণা করা চল্লো। এখানে আর দেখা-রূপের সীমা মেনে চলতে হ’ল না। দেখা গাছ হ’ল এখানে কল্পবৃক্ষ, ছাতা ছৈ ছতরী কত কী, এখানে দেখ রূপে না-দেখা রূপে বা কল্পিত রূপে মেলামেশানোর অবসর হ’ল এবং তার ফলে নানা অদ্ভুত রূপ-স্মৃষ্টির দেখা পেলেম। এর চেয়ে উচ্চ স্তরে উঠে পেলেম আর্টের মধ্যে ভাবনা-মূলক সাদৃশ্য। যা সুন্তর্নিহিত ছিল, গোপনে ছিল, তা বাইরে প্রকাশিত হ’ল অপূর্ব কৌশলে । এ-ক্ষেত্রে রূপ ও কল্পনা দুই-ই ভাব-ব্যঞ্জনার কাজে লাগলো, এবং ভাব ও রসই এখানে প্রাধান্ত পেলে দৃষ্ট এবং কল্পিত দুয়ের উপরে। O. P. 14-50