পাতা:বাঙ্গলার পরিচিত পাখী.djvu/১২৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১০৪
বাঙ্গলার পরিচিত পাখী

পশ্চাদ্ধাবন করে। বৃক্ষহীন মুক্ত প্রান্তর সেইজন্য ইহাদের পক্ষে অনুপযোগী। রেল লাইনের ধারে ধারে টেলিগ্রাফের তার সেইজন্য ইহাদের অতি প্রিয়। ঐরূপ স্থানে বসিয়া—উড্ডীয়মান কীটপতঙ্গাদি লক্ষ্য করা অতি সুবিধাজনক। এই পাখীগুলিও কীটভুক্‌ হওয়া সত্বেও একাকী বিচরণ করে না, অনেকগুলি দলবদ্ধ হইয়াই থাকে।

 পশ্চিমভারতের কোনও কোনও স্থানে বোধহয় ইহারা যাযাবর নহে। বাংলা দেশেও কোনও স্থানে ইহারা স্থায়ী বাসিন্দা কিনা বলিতে পারিনা। এই সকল তথ্য অবগত হওয়া যায় যদি বিভিন্ন জেলায় কৌতুহলী পর্য্যবেক্ষক ইহাদের আনাগোনা লক্ষ্য করিয়া লিপিবদ্ধ করেন। ইহাই হইল “নেচার ষ্টাডি” বা প্রকৃতি পরিচয়। ইহার জন্য কাহাকেও বৈজ্ঞানিক তত্ত্বজ্ঞ হওয়ার আবশ্যক করে না। প্রাণীতত্ত্বে অবৈজ্ঞানিকের নেচার ষ্টাডি নোটস্ বৈজ্ঞানিক গবেষণার সহায়তা করে।

 ধূলিস্নান করিয়া দেহ পরিষ্কার রাখা ইহাদের একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। শূন্যবিহারী এই পাখী সাধারণতঃ ধরিত্রীপৃষ্ঠে অবতরণ না করিলেও ধরণীর ধূলা অঙ্গে মাখিতে ভালবাসে। হুপো, চড়াই ভরত, প্রভৃতি পাখীও ধূলিস্নান করিতে পটু, ইহা পূর্ব্বেও উল্লেখ করিয়াছি।

 নীড় রচনা কার্য্যও ইহারা ধরিত্রীয় ক্রোড়েই সম্পন্ন করে। এজন্য বৃক্ষের আশ্রয় ইহারা লয় না। মাঠের ধারে কোনও উচ্চ পাড়ে বা কোনও বাঁধের ধারে ইহারা গাঙশালিকের ন্যায় গর্ত্তমধ্যে নীড় স্থাপন করে।

 নীড়ের জন্য ইহারা স্বয়ং নখর ও চঞ্চুর দ্বারা গর্ত্তখনন করিয়া লয় এবং প্রায় ২ হইতে ৪ হাত দীর্ঘ সুড়ঙ্গ করে। ইহাদের নীড়রচনার পদ্ধতি লক্ষ্য করিবার মত; চঞ্চুর দ্বারা খানিকটা গর্ত্ত করিয়া