পাখীর শ্রেণীবিভাগের কথা পূর্ব্বে উল্লেখ করিয়াছি। সাধারণভাবে যদি আমরা পাখীর শ্রেণীবিভাগ করিতে যাই তাহা হইলে হয়তো নিম্নলিখিত ভাবে ভাগ করিতে চেষ্টা করিব—
(১) মাঠের পাখী: এর মধ্যে আমরা সাদা বক, ফিঙ্গে, হুপো, নীলকণ্ঠ প্রভৃতি দেখিতে পাই। শালিক, কাককেও মাঠে দেখা যায়। গ্রামদেশে দাঁড়কাককে তো প্রায়ই দেখা যায়।
(২) গাছের পাখী: বসন্ত বাউরী, হলদে পাখী, হাঁড়িচাচা, কোকিল প্রভৃতি গাছে গাছেই থাকে। সুতরাং এদের গাছের পাখী বলিতে দোষ কি?
(৩) জলের পাখী: হাঁস, ডাহুক, জলপিপি, ডুবুরী, মাছরাঙা, খঞ্জন, কাদাখোঁচা এদের জলের উপর বা পাশেই দেখা যায়।
(৪) ঘরের পাখী: চড়ুই, কাক, পায়রা, দোয়েল, বুলবুল, শালিক—এরা আমাদের ঘরের আশে পাশে ঘুরিয়া বেড়ায় সুতরাং ঘরের পাখী বলিতে আপত্তি কেন হইবে?
(৫) শিকারী পাখী: বাজ, চিল, পেচক—প্রভৃতি আমিষভোজী পাখীকে শিকারী পাখী বলা যাইতে পারে।
কিন্তু এরূপ শ্রেণীবিভাগ কি খুব সঙ্গত হইবে? ধরুন, বুলবুল ও দোয়েল—এদের ঘরের পাখীও বলিতে পারি আবার বনের পাখীও বলিতে পারি। শালিক, ঘুঘু, কাক এদের ঘরের পাখী, বনের পাখী, মাঠের পাখী, তিনটাই বলা চলে। খঞ্জন জলের ধারের পাখী, মাঠেও চরে আবার আমাদের গৃহপ্রাঙ্গনেও আসিয়া বেশ হৃষ্টমনে চলাফেরা করে।
সুতরাং এই শ্রেণীবিভাগদ্বারা পাখীদের ঠিক কুলের পরিচয় পাওয়া যায় না। ছোট ছেলেদের শিক্ষাদান কালে অবশ্য এইরূপ একটা