পাতা:বাঙ্গলার পরিচিত পাখী.djvu/৫০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
কোকিল
৩৫

ইহার মাথায় ঝুঁটি আছে—কেন না ঝুঁটি থাকিলেই তাকে এদেশে বুলবুল বানাইয়া ছাড়া হয়।

 (৪) ‘কানাকূয়া’—ইহা কাকের মত দেখিতে ভূমিচর একটি পাখী, দেখিয়া কাকের জ্ঞাতি বলিয়াই সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক। ইহার ইংরেজী নাম “ক্রো-ফেজ্যাণ্ট”।

 পাপিয়া, বউ-কথা-কও ও কানকূয়া বাংলাদেশে বাসিন্দা পাখী, যাযাবর নহে বলিয়াই আমার বিশ্বাস।

 এদেশে ছেলেবুড়া সকলেই বোধ হয় কোকিল দেখিয়াছেন, সুতরাং কোকিলের বিশেষ রূপবর্ণনা নিষ্প্রয়োজন। পুং কোকিল চক্‌চকে নীলাভ কৃষ্ণবর্ণ, চক্ষু দুটি লাল এবং চঞ্চুটি বেশ পুরু ও দৃঢ়। স্ত্রী পাখী কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন বর্ণের। ইহার শরীরে কৃষ্ণবর্ণ কোথাও নাই। ইহার পালকগুলি ধূসর এবং পতত্রভাগ শ্বেতাভ হওয়ায় মনে হয় ইহার শরীরে অসংখ্য সাদা রঙের ছিটে দেওয়া। অজ্ঞ ব্যক্তি ইহাকে অন্য পাখী মনে করেন, অনেকে ইহাকে “তিলে কোকিল” বলিয়া থাকেন। পূর্ণবয়স্ক কোকিল দৈর্ঘ্যে ১৭ ইঞ্চির কম নহে, কিন্তু পুচ্ছটিই ইহার অর্দ্ধেকের বেশী জুড়িয়া থকে।

 পাপিয়াকে দেখিলে হঠাৎ বাজ-পাখী বলিয়া মনে হয়। গাত্রবর্ণ ধূসর, শ্বেতাভ চক্ষু, কণ্ঠ ও মুখের দুইপাশ শ্বেতাভ, স্কন্ধ ও বক্ষ ভষ্মবর্ণ কিঞ্চিৎ লাল আভাযুক্ত, বক্ষের নিম্নাংশ ও উদর শুভ্র রেখাযুক্ত, পুচ্ছের পালকের নিম্নভাগ সাদা এবং উপরে আড়াআড়ি ভাবে ৪।৫টি সাদা রেখা। মোটামুটি ইহাই পাপিয়ার বর্ণনা। স্ত্রী পুরুষ উভয়েই দেখিতে একরূপ।

 বউ-কথা-কও পাপিয়ার সদৃশ। ইহার বর্ণ বাদামী মস্তক ও স্কন্ধদেশ ঘন ছাই রঙের। পুচ্ছের প্রান্তভাগ শুভ্র এবং পুচ্ছের অগ্রভাগের দিকে আড়াআড়ি একটা বেশ চওড়া সাদা রেখা। কণ্ঠ আর বুক