পাতা:বাঙ্গলার পরিচিত পাখী.djvu/৮৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মাছরাঙা
৬৭

নজরে না পড়ায় ডিম প্রয়োজন মত উত্তাপের অভাবে পচিয়া নষ্ট হইয়া যাইতে পারে।

 মাছরাঙাদের মধ্যে নীলকণ্ঠের মত স্ত্রীপুরুষের দেহের বর্ণে কোনও প্রভেদ নাই। যে সব পাখী উন্মুক্ত খোলা নীড় রচনা করে তাহদের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্ত্রীপাখীর বর্ণ পুরুষপাখীর মত উজ্জ্বল হয় না, সাদামেটে কিংবা নিষ্প্রভ হয়। নীড়োপবিষ্টা অবস্থায় যাহাতে আততায়ীর দৃষ্টি আকর্ষণ না করে, বোধ হয় সেইজন্য প্রকৃতি এই নিয়ম করিয়াছেন। মাছরাঙা, নীলকণ্ঠ, কাঠঠোকরা, বাঁশপাতি প্রভৃতি পাখী গর্ত্তমধ্যে নীড় নির্মাণ করে বলিয়াই সম্ভবতঃ ইহাদের স্ত্রীপুরুষের বর্ণে কোনও পার্থক্য রাখা বিধাতাপুরুষ নিষ্প্রয়োজন মনে করিয়াছেন।