পাতা:বাঙ্গলার পরিচিত পাখী.djvu/৮৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
হাঁড়িচাচা
৭১

হীন। চড়াই, ঘুঘু প্রভৃতির ডিম ও বাচ্ছা চুরি করিয়া অনেক সময় ইহারা উদর পূরণ করে। আহার সন্ধন্ধে ইহারা বেশ উদার। পেটে ক্ষুধা থাকিলে আমিষ নিরামিষ বা সামগ্রীর বাছবিচার করে না। একবার এক ভদ্রলোক ইহাকে গোটা একটা বাদুড় উদরসাৎ করিতে দেখিয়াছিলেন।

 কাককে যেমন ভারতবর্ষের সর্ব্বত্র দেখিতে পাওয়া যায়, হাঁড়িচাচাও তদ্রূপ আসমুদ্র হিমাচলের সকলস্থানে দৃষ্ট হয়।

 শীতের অবসানে গাছের কচিপাতায় যখন সবুজ রং ধরে, ইহাদেরও তখন যৌবনউৎসব আরম্ভ হয়। ইহারা তখন জোড়া বাঁধিয়া বসন্ত উৎসব সমাধা করিয়া বংশরক্ষার কার্য্যে মন দেয়। ইহাদের আঁতুড় ঘর গাছের উপরেই নির্ম্মিত হয়। এজন্য ইহারা বড় বড় গাছের আগডালই পছন্দ করে। কলিকাতার সন্নিকটস্থ গ্রামগুলিতে ইহাকে আমি আমগাছেই অধিকাংশ নীড় বাঁধিতে দেখিয়াছি। তবে নীম, অশ্বথ, বাবলা ও শিরীষ গাছেও ইহাদের বাস পাওয়া যায়। পাখীগুলি দীর্ঘ লেজের জন্য আকারে বড় সুতরাং বাসাগুলিও বেশ বড়ই হয়। কাকেরই মত ইহাদেরও বাসারচনার কোনও পারিপাট্য নাই। ইহা আশ্চর্য্যের বিষয় যে ছোট ছোট পাখীরাই সাধারণতঃ বাসারচনায় নৈপুণ্য ও কারু-কৌশল প্রকাশ করে। কাক, হাঁড়িচাচা প্রভৃতি বুদ্ধিজীবী পাখীরা কোনও প্রকার শিল্পজ্ঞানের পরিচয় দেয় না। হাঁড়িচাচার বাসার ভিত হয় সরু সরু ডালপালা দিয়া এবং তজ্জন্য কাঁটাগাছের ডালই ইহারা অধিক ব্যবহার করে। বাসার অভ্যন্তরে ঘাসের গদি করিয়া তদুপরি ডিম রক্ষা করে।

 ইহাদের ডিমগুলি দেখিতে একরকমের হয় না। প্রায় পাখীদেরই ডিমের বর্ণে নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য আছে, যে কারণে ডিম দেখিয়া কোন