এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৬
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।
ণিচ্ প্রত্যয় করিলে ধাতুর অন্ত্য স্বর ও উপান্ত্য অকারের[১] বৃদ্ধি হয়। উপান্ত্য স্বর অকার ভিন্ন হইলে গুণ হয়। যথা; কৃ-ই কারি, বস্-ই বাসি, মুচ্-ই মোচি ইত্যাদি।
ঘট্, ব্যথ্, জন্ ও অমৃভাগান্ত ধাতুর উত্তর ণিচ্ প্রত্যয় করিলে উপান্ত্য অকারের বৃদ্ধি হয় না। যথা; ঘটি, ব্যথি, জনি, গমি ইত্যাদি।
আকারান্ত ধাতুর উত্তর ণিচ্ প্রত্যয়[২] করিলে ধাতুর উত্তর একটি প হয়। যথা; স্থা-ই স্থাপি, জ্ঞা-ই জ্ঞাপি ইত্যাদি।
ণিচ্ প্রত্যয় করিলে, ঋ, অধি-ই, স্ফুর, প্রী, ভী, রুহ, হন ও দুষ্ ধাতু স্থানে যথাক্রমে অর্প্, অধ্যাপ্, স্কার্, প্রীণ্, ভীষ্, রোপ্, ঘাত্ ও দূষ্, আদেশ হয়। যথা; রোপি, ঘাতি ইত্যাদি।
সনন্ত।
সনন্ত ধাতু উৎপন্ন করিবার উপায়।