পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।

 পূর্ব্বে বা পরে স্বরবর্ণ না থাকিলে ব্যঞ্জন বর্ণ উচ্চারিত হইতে পারে না। বাঙ্গলা বর্ণমালা পাঠ কালে প্রায় সকল ব্যঞ্জন বর্ণেই অকার যুক্ত থাকে। ব্যঞ্জন বর্ণ, যথা;— ক খ গ ঘ ঙ। চ ছ জ ঝ ঞ। ট ঠ ড (ড়) ঢ (ঢ়) ণ। ত থ দ ধ ন। প ফ ব ভ ম। য (য়) র ল ব। শ ষ স হ। ং ঃ ঁএই ছত্রিশটি বাঞ্জন বর্ণ[১]

 তন্মধ্যে ক অবধি ম পর্য্যন্ত স্পর্শ বর্ণ। য, র, ল, ব এই চারিটি অন্তঃস্থ বর্ণ। শ, ষ, স, হ এই চারিটি উষ্মবর্ণ। অনুস্বার ও বিসর্গ অযোগবাহ বর্ণ এবং চন্দ্রবিন্দু অনুনাসিক বর্ণ।


  1. ড, ঢ য যদি শব্দের প্রথমাক্ষর কিম্বা অন্য বর্ণের সহিত সংযুক্ত না হয়, তবে উহারা ড় ঢ় য় বলিয়া উচ্চারিত হয়। যথা; জড়, দৃঢ়, নয়ন। অন্যত্র যথা; ডমরু, ঢক্কা, যখন, জাড্য, ন্যায্য ইত্যাদি। কিন্তু গ, জ ও ব সংযুক্ত ড প্রায়ই ড় বলিয়া উচ্চারিত হয়। যথা; খড়গ, ষড়্‌জ, ষড়্বিংশতি ইত্যাদি। আর য, পদের মধ্যে থাকিলেও কোন কোন স্থলে য় বলিয়া পঠিত হয় না। যথা; সরযূ, সংযোগ, উপযোগ ইত্যাদি।