পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৬
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।

পদ সমূহকে তেমন যোগ্য বাক্য বলা যায় না; কেন না অগ্নির আর্দ্র করণে বাধা আছে। সুতরাং উহা উন্মত্ত প্রলাপের ন্যায়, প্রকৃত বাক্য মধ্যে পরিগণিত নহে[১]

 অর্থ বোধের সময় অনাসন্ন পদ দ্বারা অর্থ বোধের বিচ্ছেদ না হওয়াকে আসত্তি কহে। আসত্তি অনুসারে পদ স্থাপন করা উচিত[২]। “আমার পুস্তক” এই স্থলে “আমার” এই পদের পরেই যাহার সহিত সম্বন্ধ সেই পুস্তক পদ তখনই প্রয়োগ করিতে হইবে। তাহা হইলে আসত্তি বশতঃ অর্থ প্রতীতির ব্যাঘাত জন্মিবে না। কিন্তু “হইতে আমি উচ্চ এক পড়িয়াছি বৃক্ষ ফল” এই স্থলে আসত্তি নাই বলিয়া অর্থ প্রতীতি হয় না। সুতরাং উহাকে বাক্য বলা যাইতে পারে না।

 উক্ত বাক্য সমুদায় প্রথমতঃ প্রধান দুই


  1. পরীহাসাদি স্থলে কখন কখন অযোগ্য বাক্য দ্বারাও অর্থ প্রতীতি হইয়া থাকে।
  2. কখন কখন পদ্যময় বাক্যে অনাসন্ন পদ দ্বারাও বা বাক্যার্থ জ্ঞান জন্মিয়া থাকে। যথা; “পিতামহ দিলা মোরে অন্নপূর্ণা নাম” ইত্যাদি।