পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯০
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।

 ব্যঙ্গ্যার্থ।—শক্তি বা লক্ষণা দ্বারা অর্থ অজ্ঞান হইলে পর যে শক্তি দ্বারা তাৎপর্য্যার্থ প্রতীতি হয়, তাহার নাম ব্যঞ্জনা। ব্যঞ্জনামূলক অর্থই ব্যঙ্গ্যার্থ। যথা; “ভাল তুমি যে উপকার করিয়াছে, ঐরূপ করিয়া চিরদিন সুখে থাক”। এখানে শব্দার্থ জ্ঞানানন্তর এইরূপ একটি অর্থ প্রতীতি হইতেছে যে তুমি বড় অপকার করিয়াছি, তোমার কখন ভাল হইবে না। ইহাকেই ব্যঙ্গ্যার্থ বলে। যে কাব্যে অধিক ব্যঙ্গ্যার্থ থাকে, তাহাই উত্তম।

 রসাত্মক বাক্যের নাম কাব্য। যাহার বৃত্তান্ত অবলম্বন করিয়া কাব্য রচিত হয়, তাহকে নায়ক বলে। প্রায়ই নায়কের নামানুসারে, কাব্যের নাম করণ হয়। যেমন টেলিমেকস্ নামক নায়ককে অবলম্বন করিয়া যে বাক্য রচিত, তাহার নাম টেলিমেকস্ ইত্যাদি। কখন কখন বর্ণনীয় বিষয় অনুসারেও কাব্যের নাম করণ হয়। যথা; কুলীন কুলসর্বস্ব ইত্যাদি।

 কাব্যের মধ্যে এক এক রস প্রধান থাকে। প্রাসঙ্গিক অন্যান্য রসও বর্ণিত হয়। যে