এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।
১৯৩
খণ্ডকাব্য।—মহাকাব্য অপেক্ষা অল্পায়ত ক্ষুদ্রকাব্যকে খণ্ড-কাব্য বলে। খণ্ডকাব্য মহাকাব্যের ন্যায় নানা বিষয়িণী বর্ণনায় পরিপূর্ণ থাকে। যথা; ঋতুসংহার, মেঘদূত প্রভৃতি।
কোষ কাব্য।—এক প্রসঙ্গের কতকগুলি পরস্পর অসম্বদ্ধ শ্লোককে কোষকাব্য কহে।
চম্পূকাব্য।—গদ্য পদ্যময় কাব্যকে চম্পূকাব্য বলে। যথা; সুধীরঞ্জন ইত্যাদি।
গীতকাব্য।—স্বরে গ্রথিত কবিতাকে গীতকাব্য বলে। যথা; পদাবলী প্রভৃতি।
উপাখ্যান।—পশ্বাদির ইতিবৃত্ত অবলম্বন করিয়া বিরচিত গ্রন্থকে উপাখ্যান কহে। যথা; পশ্বাবলী, প্রাণিবৃত্তান্ত ইত্যাদি।
বঙ্গভাষায় মহাকাব্য ভিন্ন অন্য প্রকার কাব্য বিরল। যাহা আছে, তাহাও তাদৃশ উৎকৃষ্ট নহে।
রস।
কোন বর্ণনা শ্রবণে বা পাঠে অথবা নাটকাদি দর্শনে মনে যে স্থিরতর অপূর্ব্ব ভাবোদয় হয়, ঐ স্থায়িভাবের নাম রস। রস নয়
১৭