পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০০
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।

আমারই সৃষ্টি করা চতুর্ম্মুখ, হরিবৈদ্য আমি হরিবারে দুখ ভ্রমণ করি ভুবনে। আমি এ ব্রহ্মাণ্ডে আনি চণ্ডেশ্বর, আমারই জেনো সর্ব্বাঙ্গ সুন্দর, জয়মঙ্গল আদি কোথা পায়। নর, কেবল আমার স্থানে, দৃষ্টিমাত্র দেহে রাখিনে বিকার, তাইতে নাম আমি ধরি নির্ব্বিকার, মরণের ভয় কি থাকে তাহার, আমায় ডাকে যে জনে।” ইত্যাদি।

 বক্রোক্তি।—এক ব্যক্তির একার্থক বাক্য যদি অন্য ব্যক্তি শ্লেষ বা কাকু দ্বারা অর্থান্তরে। বোজিত করে, তাহা হইলে বক্রোক্তি হয়। শ্লষেমূলা যথা; প্রং, “কেন সখি তাপ পাও অমৃত কিরণে?” উং, “মৃত হলে বল এত তাপ হবে কেন?” কাকুমূলা যথা; “হাসিয়া সুন্দর কহে এ যুক্তি সুন্দর, তাই বলি পাকে চল শ্বশুরের ঘর?” ইত্যাদি।

অর্থালঙ্কার।

 উপমা।—যেখানে যথা, সম, সদৃশ, তুল্যাদি শব্দ দ্বারা দুই বিষয়ের সমান ধর্ম্ম নির্দ্দেশ করা যায়, তাহার নাম উপমা। যথা: