পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।
২১৭

যে ভাবে থাকিবে, অন্য চরণেরও উপান্ত্য স্বর ও অন্ত্যবর্ণ ঠিক তদবস্থ করিতে হইবে[১]। তাহার অন্যথা হইলে কবিতা অপকৃষ্ট হয়। উদাহরণ যথা; অরুণেরে রঙ্গ দেয় অধর রঙ্গিমা। চঞ্চলা চঞ্চলা দেখি হাস্যের ভঙ্গিমা”। তাহার অন্যথা; যথা; “কে কোথায় পড়িয়াছে নাহিক উদ্দেশ। রণভূমি দেখি দেবগণে লাগে ত্রাস?”।

 ইদনীন্তন কবিগণ ইংরাজি শ্লোক রচনার প্রণালী অনুসরণ করিয়া মিত্রাক্ষরের অনেক প্রকার ভেদ করিয়াছেন। কোন কোন স্থলে প্রথম চতুর্থের ও দ্বিতীয় তৃতীয়ের সমান। কোন কোন স্থলে প্রথম তৃতীয়ের ও দ্বিতীয় চতুর্থের সমান ইত্যাদি


১৯
  1. অনেকেই প্রায় এক জাতীয় উচ্চারণ বিশিষ্ট বর্ণকে পরস্পর মিত্রাক্ষর গণনা করেন। যথা; “ফুল্ল ফুল তুল্য জীব আজিকা প্রফুল্ল। জীর্ণ বিশীর্ণ স্খলিত গলিত কল্য”। “বিদ্যা করেছিল পণ, বিদ্যা করেছিল পণ। সেই পতি বিচারে জিনিবে যেই জন”। ঘর বড় এত বড় আই বড় ঝি। বিবাহ না হলে পরে লোকে কবে কি”। ইত্যাদি।