পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।

বর্ণ-চয়কে পদ বলে। যথা; রামকে, বলিয়াছি ইত্যাদি।

 পদ সমুদায় পাঁচ ভাগে বিভক্ত। যথা: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্ব্বনাম, অব্যয় ও ক্রিয়া। যথাক্রমে বিবরণ করা যাইতেছে।

বিশেষ্য।

 যে শব্দ দ্বারা জাতি, গুণ, ব্যাপার, ব্যক্তি বা বস্তু বুঝায় তাকে বিশেষ্য[১] কহে। যথা; গো, অশ্ব; গুরুত্ব, লঘুত্ব; গমন,


  1. বিশেষ্য পাঁচ ভাগে বিভক্ত। যথা; জাতি বাচক, গুণবাচক, ক্রিয়াবাচক, সংজ্ঞাবাচক ও দ্রব্য বাচক।
     যাহা দ্বারা এক এক জাতিকে বুবায়, তাহাকে জাতিবাচক শব্দ কহে। যথা; মনুষ্য, গো, পতঙ্গ ইত্যাদি।
     যাহা দ্বারা গুণ প্রকাশ হয়, তাদৃশ শব্দকে গুণবাচক বলে। যথা; শুক্ল, নীল, পীত, গুরুতা, লাঘব ইত্যাদি।
     পাক, ভেজন, গমন ইত্যাদি ক্রিয়াঘটিত শব্দকে ক্রিয়াবাচক বলে।
     আর একবস্তুমাত্রের বোধক শব্দকে সংজ্ঞাবাচক কহে। যথা; রাম, কৃষ্ণ, শ্যাম ইত্যাদি।
     অগ্নি, জল, বায়ু, কাষ্ঠ ইত্যাদি এক এক বস্তুবোধক শব্দকে দ্রব্যবাচক বলে।