পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।

বিভক্তি হয়, কোথাও বা সপ্তমী বিভক্তিও লাগে। ক্রমশঃ উদাহরণ। যথা; পুস্তক পড়িতেছে, তাঁহাকে বলিলাম, হরিকে দেখিলাম, তোমায় বলিলাম।

 কতকগুলি ক্রিয়ার দুইটি কর্ম্ম থাকে। তন্মধ্যে গৌণ কর্ম্মের উত্তর বিভক্তি হয় এবং মুখ্য কর্ম্মে কোন বিভক্তি থাকে না। যথা; আমি তাহাকে এই কথা বলিলাম। এখানে তাহাকে ও এই কথা এই দুইটি কর্ম্ম। এই রূপ; সে তোমাকে কারণ দর্শাইয়াছে, গুরু শিষ্যকে শাস্ত্র পড়াইতেছেন, শিষ্য গুরুকে শাস্ত্র জিজ্ঞাসিতেছে। তুমি আমাকে[১] পুস্তক দাও, সে ব্রাহ্মণকে ধনদান করিতেছে।

 যখন কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে অন্য কিছু বলিয়া বর্ণনা করা যায়, তখন ঐ বস্তু বা ব্যক্তি


  1. দানের পাত্রকে সম্প্রদান কহে। শেষোক্ত উদাহরণদ্বয়ে আমাকে ও ব্রাক্ষ্মণকে এই যে দুইটি পদ আছে, সংস্কৃত ব্যাকরণে ইহাকে সম্প্রদান বলে। বঙ্গভাষায় সম্প্রদান ও কর্ম্ম উভয়ের বিভক্তিগত বৈলক্ষণ্য নাই সুতরাং উহাকে কর্ম্ম বলাই সুবিধা। এই নিমিত্ত দ্বিকর্ম্মকের উদাহরণ মধ্যে উহা প্রদর্শিত হইল।