পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, 'R বাঙ্গাল ভান্ধ। উৰ্দ্ধকোণে স্থিত কামা ব্ৰহ্মশক্তি রিতীরিত । বামকোণে স্থিত জ্যেষ্ঠ বিষ্ণুশক্তি রিতীরিত ৷ দক্ষকোণে স্থিত বিন্দু রোস্ত্রী সংস্থারকারিণী । ত্রিকোণে মেতৎ কথিতম্” ইত্যাদি । ‘এক্ষণে আমি ককারের তত্ত্ব নিরূপণ করিব। উহার বামরেখা ব্রহ্মা, দক্ষিণরেখা বিষ্ণু, অধোরেখা মহেশ্বর, মাত্রা সরস্বতী, অঙ্ক শাকার অর্থাৎ আকুড়ি কুণ্ডলী নামক দেবতা এবং মধ্যস্থ শূন্য সদাশিব। ককারের উদ্ধকোণে কামানামে ব্ৰহ্মশক্তি, বামকোণে জেষ্ঠা নামে বিষ্ণুশক্তি এবং দক্ষিণ কোণে বিন্দু নামে রুদ্রশক্তি অবস্থিত আছেন। ককার ত্রিকোণ ” ইত্যাদি । এইরূপ বর্ণনা বাঙ্গাল ককার ব্যতিরেকে দেবনাগরের ককারে কখন সঙ্গত হয় না। কারণ উহ। (ক) ত্রিকোণ নহে। তন্ত্রে অপরাপর বর্ণেরও এইরূপ বিবরণ আছে। সুতরাং স্মৃতি ও রামায়ণাদির স্যায় তন্ত্রশাস্ত্রকে অতি প্রাচীন কালের গ্রন্থ বলিয়া বিশ্বাস করিলে বাঙ্গালা অক্ষর ৪ অতি প্রাচীন কালের অক্ষর বলিয়া স্বীকার করিতে হয়। কিন্তু তন্ত্রের ভাষা ও বর্ণিত বিষয়াদির পর্য্যালোচনা করিয়া এক্ষণে অনেকেই তন্ত্রকে অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের গ্রন্থ বলিয়াই বিবেচনা করেন। যাহাই হউক কোন কোন তন্ত্র খুব আধুনিক হইতে পারে কিন্তু সকল তন্ত্রই যে তত আধুনিক তাহ বোধ হয় না । স্মাৰ্ত্ত রঘুনন্দন ভট্টাচাৰ্য্য ‘দীক্ষাতত্ত্ব’ নামে একখানি পুস্তক লিখিয়াছেন। দীক্ষা