পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e - বাঙ্গাল সাহিত্য । লেই হয়। কিন্তু চণ্ডীকাব্যে ঐ স্থই ছন্দ ব্যতিরিক্ত বাপতাল, ভঙ্গপয়ার, ভঙ্গত্রিপদী, একাবলী এবং আরও ২১টা নূতনরূপ ছন্দ আছে । তদ্ভিন্ন জয়দেবের স্যায়— “দিনে দিনে ৰড়ে কালকেতু” । “দিদি গে৷ এৰে বড় সঙ্কট পরাশ”। প্রকোটাল ! খণনিক জীবন রাখ’ । ইত্যাদিরূপ ধুয়া এবং ধানশী, কামোদ, পঠমঞ্জরী প্রভৃতি অনেক রাগরাগিণীরও উল্লেখ মধ্যে মধ্যে আছে। যাহাঁহউক পূর্বোক্ত কয়েকটা ছন্দই পয়ার বা ত্রিপদীর রূপান্তর মাত্র —কোনটাই উহাহইতে ভিন্নপ্রকৃতিক নহে। অতএব বোধহয় কবি, পয়ার ও ত্রিপদী লিখিতে লিখিতেই, যদৃচ্ছাক্রমে অক্ষর বাড়াইয়া বা কমাইয়াও কর্ণে মিষ্ট লাগাতে, ঐ সকল নূতন ছন্দের স্বষ্টি করিয়াছেন। যাহাহউক, ইহার পূর্বোল্লিখিত কাব্যসকলের ছন্দে যতিভঙ্গ ও অক্ষরগণনার বৈষম্য প্রভৃতি যেসকল দোষ দৃষ্টহয়, চণ্ডীকাব্যের ছন্দেও সেসকল দোষ নাই এমত নহে, তবে অপেক্ষাকৃত বিরল বটে। অনর্গল প্রশংসা করিলে লোকে গোড়া বলে এবং গোড়ার কথায় কেহ শ্রদ্ধা করেন; স্থতরাং সে অপবাদের হস্ত হইতে মুক্ত হইবার জন্য ইচ্ছা না থাকিলেও চণ্ডীর ২৪টি দোষের কথা বলিতে হইল। কবিকঙ্কণ, বর্ণিত নায়কনায়িকা প্রভৃতির চরিত্রগুলি প্রায় সকলস্থলেই য়থাযথরূপে চিত্রিত করিয়াছেন, সত্য বটে; কিন্তু কয়েকটা স্থলে তাহাদের কার্য্য ও আচার ব্যবহার অত্যুক্তিদূষিত ও অনৈসর্গিক বলিয়া প্রতীয়মান হয়। কালকেতুব্যাধকে অত অধিক অন্ন