পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> な 。 লাঙ্গালা সাহিত্য । , ধোবানীর সাহায্যে সুরপুরে গমন করত নৃত্যদ্বারা দেবতাদিগকে প্রীত করিয়৷ পতির জীবনলাভ করান । চাদ সওদাগর মনসার পূজা করিতেন না, তাহাকে চেঙ্গমুড়ী কাণী’ বলিয়া গালি দিতেন, হেঁতালের লাঠী লইয়া প্রহার করিতে যাইতেন, এই জন্যই তাহার উপর মনসার রাগ। এক্ষণে সওদাগর আর র্তাহার দ্বেষ করিবেননা-পূজাকরিবেন, বেহুলার নিকটে এইরূপ দৃঢ় আশ্বাস পাইয়া দেবী সওদাগরের পূৰ্ব্বনষ্ট ছয় পুত্রকেও বাচাইয়া দিয়া জলমগ্ন সমস্ত ধ নও বহিব্রসমেত উদ্ধার করিয়া দেন। বেহুলা, বহিব্রসমেত সেই সমগ্র ধনসম্পত্তি, পুনর্জীবিত পতি ও ভাস্তরদিগকে সঙ্গে লইয়! দেশে আগমন করিলে মনসাদেবীর পূজা প্রচার হয় । এই উপাখ্যানের প্রকৃত মূল কি ? তাহা বলিতে পারাযায়ন, কিন্তু দেখিতেপাওয়াযায় যে, অদ্যাপি ত্রিবেণীর বান্ধাঘাটের কিঞ্চিৎ উত্তরে “নেত ধোবানীর পুকুর” নামে একটা প্রাচীনপুষ্করিণী আছে—পূর্বোক্ত বৈদ্যপুর হাসন হাটী নারিকেলডাঙ্গা প্রভৃতি গ্রামগুলির নিম্নদিয়া যে সামান্য নদীটী আছে, তাহাকে লোকে “বেহুল নদী” বলে এবং বৰ্দ্ধমানের প্রায় ১৬ ক্রোশ পশ্চিমে চম্পাইনগর নামক পরগণার মধ্যে চম্পাইনগরনামক একটী গ্রামও আছে । ঐ গ্রামে চাদসওদাগরের বাট ছিল, একথা তত্রত্য লোকে বলিয়াথাকে। ঐ গ্রামের নিকটে তৃণগুল্মাচ্ছন্ন একটা উচ্চভূমি আছে ; ঐ ভূমি নথিন্দরের লোহার বাসর