পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যকাল—কাশীরামদাস । - ృ: ( বাস্তুবাটী দান করেন, সেই দানপত্র পাওয়া গিয়াছে, তাহা সন ১০৮৫ সালের আষাঢ় মাসে লিখিত; এক্ষণে ২৩ খানি ছিন্ন বস্ত্ৰ দিয়া আঁটা আছে,তথাপি অনেক স্থান ছিন্ন ও গলিত হইয়া গিয়াছে—সকল কথা পড়িতে পারাযায়ন৷ ” ইত্যাদি—যদি এদানপত্র প্রকৃত হয়, তবে কাশীরাম এক্ষণ হইতে ২০০ বৎসরের কিঞ্চিদধিক পূর্বে জন্মগ্রহণ করিয়া গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন, তদ্বিষয়ে আর কিছুমাত্র সংশয় নাই। কাশীরামদাস অতিরিনীত কবিত্বগৰ্ব্বশূন্য পরমভাগবত লোক ছিলেন . মহাভারতের ন্যায় ছন্দোবদ্ধ বৃহৎ গ্রন্থ তাহার পূর্বে—অথবা পূর্বেই কেন, এপর্য্যন্ত কেছ রচনা করিতে পারেন নাই। তিনি এতাদৃশ বৃহৎ গ্রন্থ রচনা করিয়াও আপনাকে “ কবি’ ও আপনার রচনা মধুর’ এরূপ কোথাও কিছুমাত্র উল্লেখ করেন নাই। কেবল ব্যাসদেবের ও মহাভারতকথার ভূরি ভূরি প্রশংসাতেই তাহার সকল ভণিতি পৰ্য্যবসিত হইয়াছে।

  • ব্যাসের রচিত চিত্র অপূৰ্ব্ব ভারত । কাশীরামদাস কছে পাচালির মত।” ভারত পঙ্কজরবি মহামুনি ব্যাস। পাঁচালী প্রবন্ধে রচে কাশীরামদাস । এ মহাভারতের কথা অমৃত লহরী। কাশী কছে শুনিলে তরয়ে ভযৰণরি।” । -

ইত্যাদি যে কোন ভূণিতিই পাঠ করাযাউক, তদ্বারাই তাহার বিনয়নম্রতার প্রচুর প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়াষায় । তিনি ংস্কৃত জানিতেন কি না, তাহা সন্দেহ স্থল। কারণ র্তা হার মহাভারত মূলসংস্কৃতের অবিকল অনুবাদ নহে, অনেক