পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wo বাঙ্গালী ভাষা । না—সুতরাং অগণ্য প্রমাণ দ্বারা প্রমেয় নিশ্চয় করিতে যাওয়া খুব ভাল কাজ হইল না, বুঝিয়াও উপায়ান্তরাভাবে নিম্নলিখিত বিষয়েও আবার তাহারই অনুসরণ করিতে হইল। সে বিষয়টা এই—বাঙ্গালা ভাষা কিরূপে উৎপন্ন হইয়াছে ?—ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা নানাবিধ প্রমাণ প্রয়োগ প্রদর্শন করিয়া কহিয়া থাকেন যে, অতি পূৰ্ব্বকালে ইরাণ দেশে (প্রাচীন পারস্তে ) এক প্রক্লার ভাষা ছিল, তাহ। ইউরোপে যাইয়া রূপান্তর গ্রহণপূর্বক লার্টিন, গ্ৰীক, জৰ্ম্মন প্রভৃতি এবং আসিয়ায় উপস্থিত হইয়া ঐ প্রকারে সংস্কৃত ও জেন্দ (প্রাচীন পারস্ত) ভাষার উৎপাদন করিয়াছে। উক্ত সমুদয় ভাষাকে এক্ষণে সাধারণতঃ এরিয়ান অর্থাৎ আর্য্যভাষা কহে । আর্য্যভাষা সকলের বর্ণমালা, উচ্চারণ, প্রকৃতি, প্রত্যয়, বিভক্তি, বচন, ধাতু, উপসর্গ প্রভৃতির অনেকাংশে চমৎকার-জনক সাদৃশ্য আছে—এরূপ সাদৃশ্য যে, অনেক স্থলে বোধহয় যে, একই কথা কেবল ভিন্ন ভিন্ন রূপে উচ্চারিত হয় বলিয়াই কিঞ্চিৎ ভিন্নরূপ শুনায় । প্রফেসর বপ, মাক্স মূলর, মিউর প্রভৃতি মহামহোপাধ্যায়গণ ভূরি২ প্রমাণসহকৃত বিস্তত প্রবন্ধ লিথিয়া এ বিষয়ের মীমাংসা করিয়া গিয়াছেন। অতএব ইহার প্রামাণ্যার্থ মাদৃশ অদূরদর্শী লোকের বৃথা বাগাড়ম্বর কেবল ধৃষ্টতা প্রকাশ মাত্র। অতএব তদ্বিসয়ে বিরত হইয়া কেবল উদাহরণ