পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ বাঙ্গালী সাহিত্য । এইরূপ অনুপ্রাসানুসন্ধানের জন্যই হউক বা যেকারণেই হউক রামপ্রসাদের রচনা সকলস্থলেই ললিত কোমল ও সুমধুর হয়নাই। অনেকস্থলে অকুন্দর ও কর্কশ লাগে। এবং কয়েকস্থলে নিতান্ত গ্রাম্য ও অশ্লীলবর্ণনাও আছে। তিনি নিজেই একস্থলে প্রকারান্তরে গর্ব করিয়াছেন— - *কালীকিঙ্করের কাব্যকধ বোঝা ভার । , সে বোঝে অক্ষরকালী জদে আছে যার ॥” একথাও যথার্শ্ববটে, তাহার কাব্যের অনেকস্থান সকলের বোধগম্য হয়না। কিন্তু সেরূপ অবিশদরচনা কবির প্রশংসা বা অপ্রশংসার বিষয়, তাহাপাঠকগণেই বিবেচনা করিবেন। তিনি কয়েকস্থলে কতকগুলি সংস্কৃতশ্লোকের অনুবাদ করিয়াদিয়াছেন, কিন্তু অনুবাদগুলি এতই অস্পষ্টযে, র্যাহার সেই মূলশ্লোক না জানেন, তাহদের উহা বোধগম্যহয়না । পূৰ্ব্বে যেসকলগ্রন্থের সমালোচনা হইয়াছে, তৎসর্বাপেক্ষ কবিরঞ্জনে অধিকপ্রকার নূতনছন্দ আছে। পয়ার, মালবীপ, দীর্ঘ লঘু ও ভঙ্গত্রিপদী, চতুষ্পদী, তোটক, একাবলী, দিগক্ষর একু আরও দুই একটা নূতনগোছ ছন্দ ইহাতে লক্ষিত হয়। তন্মধ্যেও অক্ষর, মাত্রা ও মিলের বৈষম্যাদি দোষও দেখিতে পাওয়াযtয় । রামপ্রসাদপ্রশীত কালীকীৰ্ত্তনের রচনা মহাকাব্যের মত স্বশ্বস্থলরূপে নিবন্ধ নহে—উহার অধিকাংশই কেবল গানময়। অন্যছন্দোরচিতও যাহা আছে, তাহাতে অক্ষর বৈষম্য অত্যন্ত অধিক । কি অভিপ্রায়ে কবি এরূপরচনা করি